Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির সাথে মির্জা ফখরুলের বৈঠক না হলে এসব কথা জানাই যেতো না

ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির সাথে মির্জা ফখরুলের বৈঠক না হলে এসব কথা জানাই যেতো না

মির্জা ফখরুল এসলাম আলমগীর হলেন বাংলাদেশের অন্যতম দল বিএনপির মহাসচিব। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হাবর পর থেকেই তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে দেশসহ বিদেশের মাটিতেও চলছে অনেক সভা সম্মেলন। সম্প্রতি জানা গেছে কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বণ করছেন বিএনপি।

টানা দুই দিন জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নীরব বিএনপি। দলের বিদেশী শাখা বৈঠকগুলোকে ‘প্রাসঙ্গিক ও দ্বিপাক্ষিক’ বলে আখ্যায়িত করলেও দলের নেতারা আর কোনো বিষয় তুলতে নারাজ। এমনকি একান্ত আলাপচারিতায়ও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গত ১২ জুলাই জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি ১৩ জুলাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির পররাষ্ট্র শাখা ও দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বৈঠকের গুরুত্বের কারণে উভয় পক্ষই নীরবতা পালন করছে। প্রথমত, জাতিসংঘ এবং ইইউ কর্মকর্তাদের একটি প্রাথমিক বৈঠক হয়েছিল। বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইস্যু প্রাধান্য পেলেও বিএনপি বা সাক্ষাৎকার নেওয়া দলগুলো কেউই এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নয়।

কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে কূটনীতিকদের তৎপরতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে বিএনপি নেতারা একটু বেশিই সতর্ক। তার মতে, বৈঠকগুলো নিয়মিত। কিন্তু শুধুমাত্র অংশগ্রহণকারীরা বিষয়বস্তু সম্পর্কে সচেতন। দলীয় ফোরামেও কোনো আলোচনা হয়নি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একাধিক প্রভাবশালী সূত্র বলছে, বিএনপি মূলত বিদেশিদের কাছে দুটি দাবি তুলে ধরছে। প্রথমত, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করা এবং বিদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা।

দলটির পররাষ্ট্র শাখার একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শুক্রবার বিকেলে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জাতিসংঘ ও ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকটি প্রথমে একটি রুটিন কল। দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে যাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিনিময় আছে, তারা এখানে সুশাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত দেখতে চান, এটাই স্বাভাবিক। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘প্রাসঙ্গিক ও দ্বিপাক্ষিক’ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এসব বৈঠকে সুস্পষ্ট নির্বাচনী প্রেক্ষাপট রয়েছে।

দলের পক্ষ থেকে নীরবতার বিষয়ে স্থায়ী কমিটির একজন প্রভাবশালী সদস্য বলেন, বৈঠকে আলোচিত বিষয় নিয়ে মহাসচিব বা আমীর খসরু কেউই কিছু বলেননি। দ্বিতীয়ত, কূটনীতিকরা স্বাভাবিকভাবেই কোনো বক্তব্য গ্রহণ করেন না। সেজন্য দলীয় পদে কেউ কথা বলবে না। চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এক ব্যক্তি বলেন, নাশকতার আশঙ্কায় বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে না। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, আমি আসলে এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি অনুমান করতে চাই না।

প্রসঙ্গত, বিএনপিসহ দেশের আরো অন্যান্য দলগুলো জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের সাথে করে যাচ্ছেন বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা। বিদেশিরাও নির্বাচন নিয়ে অনেক সক্রিয় অবস্থানে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বাংলার মানুষ আশাবাদী প্রত্যেকবারের মত এবারও সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *