Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ইংরেজিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, কাউকে গুনার সময় নেই, সেনাদের নিয়ে আমরা প্রস্তুত

ইংরেজিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, কাউকে গুনার সময় নেই, সেনাদের নিয়ে আমরা প্রস্তুত

বাংলাদেশ ও মায়ানমারের চলমান পরিস্থিতির জল গড়িয়েছে জাতিসংঘ পর্যন্ত।   এছাড়া বিষয় নিয়ে আসিয়ান সকল রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এ সকল বিষয়গুলো খুলে বলেন বাংলাদেশ সরকার। মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানিয়েও ঘটনা সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়। 

সাম্প্রতিক সংবাদমাধ্যমে এ বিষয় নিয়ে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, কাউকে কাউন্ড করার সময় নেই। আমাদের সেনাবাহিনীসহ সবাই যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমার থেকে বারবার মর্টার গোলাবর্ষণের প্রেক্ষাপটে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী প্রধান ছাড়াও বিজিবি, কোস্টগার্ড ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশে নেই। আমরা এমন পরিস্থিতি দেখছি যেখানে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ চলছে। সেই যুদ্ধের গোলাবারুদ সীমান্ত পেরিয়ে আমাদের দেশে আসছে। আমাদের মানুষ যা ঘটছে তাতে আতঙ্কিত। সেজন্য আমরা আজ বৈঠক করেছি।

মন্ত্রী বলেন, বৈঠকের পর আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আমাদের জাতীয় নীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। সেখানে আমরা কখনোই যুদ্ধকে উৎসাহিত করি না। আমাদের এখানে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি হয়নি। মিয়ানমার তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জোরপূর্বক আমাদের দেশে পাঠানো ছাড়া অন্য কোনো বৈরী আচরণ নেই।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, সেনাবাহিনীসহ আমরা সবাই যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, তাই কাউকে গণনা করি না। আমরা এই সব বিষয় নিয়ে চিন্তা করি না। আমরা বীরের জাতি, আমরা সদা প্রস্তুত।

তাদের দ্বারা উসকানির অনেক প্রচেষ্টা… আমি বলতে চাচ্ছি আমরা জানি না কে বা তারা কী করেছে। আমরা যা দেখছি তারা নিজেরাই লড়াই করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সীমান্তে যা হচ্ছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এতে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা নেই।

উল্লেখ্য, মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত দুই যুবক ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছে।  এছাড়া আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।  এছাড়া জীবন বাঁচাতে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে  অনেকে। তবে ধীরে ধীরে সীমান্তবর্তী এলাকা আগের মত স্বাভাবিক হচ্ছে বলে ধারণা  পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

About Nasimul Islam

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *