শেরপুরের নকলা উপজেলার ৮নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৫১ সদস্যের নবগঠিত কমিটি ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে তিন সহ-সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত ও পরীক্ষিত কর্মীদের কাঙ্ক্ষিত পদ না দেওয়ায় স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যদের বসানোসহ কমিটি গঠনে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেন নবগঠিত কমিটির নেতারা।
৩৩ জনের স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্রের অনুলিপি রোববার সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চলতি বছরের ১৮ মার্চ ৮নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর একটি মহল তাদের পদ থেকে বঞ্চিত হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ অবস্থায় পরে আলোচনা করে কমিটি ঘোষণা করবেন বলে সভাস্থল ত্যাগ করেন নেতারা।
সম্মেলনের ৬ মাস পর গত ৩ সেপ্টেম্বর এমরান হোসেনকে সভাপতি ও হিরাবুল বাদশাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন দেয় নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ কমিটি ঘোষণার পর স্থানীয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে আবারো ক্ষোভ দেখা দেয়। ওই কমিটির অনুমোদনের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শনিবার বিকেলে স্থানীয় নারায়ণখোলা বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এতে বক্তারা অভিযোগ করেন, ঘোষিত কমিটির সভাপতি স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য এবং তার বাবা পিচ কমিটির সদস্য।
কমিটি আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। অর্থ লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিএনপির লোকজনকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, নবগঠিত ৮নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন কমিটি গঠন নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। পছন্দের পদ না পাওয়ার অহেতুক অভিযোগ করছেন দলটির কিছু নেতাকর্মী।
নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন জানান, পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীদের কমিটিতে বাছাই করা হয়েছে। কমিটি গঠনে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কাঙ্খিত পদ না পাওয়ার এসব মিথ্যা অভিযোগে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
নবগঠিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বড় ভাই ১৩ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন কেউ অভিযোগ করেনি।