Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আ.লীগ এত বড় একটি দল কিন্তু সেইদিন কেউ এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করল না কেনো: প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ এত বড় একটি দল কিন্তু সেইদিন কেউ এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করল না কেনো: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের জাতির জনক হলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তিনি না হলে বাংলাদেশ কোনোদিন স্বাধীনতা অর্জন করযতে পারতো না। চিরকাল বাঙ্গালীকে পাকিস্তানিদের দাস হয়ে থাকা লাগতো। সেই দাসত্ব থেকে বাঙ্গালীকে মুক্তি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সময় কেন প্রতিবাদ হয়নি সেই প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রাণনাশের সময় কেন প্রতিবাদ হয়নি বলে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতির পিতা অনেককে ডেকেছিলেন। যেখানে তারা? একজন মানুষ এগিয়ে আসার সাহস পাননি? একজন মানুষ কি প্রতিবাদ করেনি? গতকাল আওয়ামী লীগ আয়োজিত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি কেন এ প্রশ্ন করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, এত বড় সংগঠন ড. এত মানুষ কেউ একটা কথা বলার সাহস পায়নি। কত স্লোগান- বঙ্গবন্ধু তুমি কোথায় আমরা। এত স্লোগান। কোথায় ছিল সেই মানুষগুলো? যখন জীবিত সবাই থাকে, যখন প্রয়াত কেউ থাকে না- এটাই তার জীবন্ত প্রমাণ। তাই আমিও কিছু আশা করি না। সবাইকে হারিয়ে বেঁচে গেছি। এইভাবে যারা বেঁচে থাকে তারাই জানে যে বেঁচে থাকা কতটা বেদনাদায়ক।

প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ১৫ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত নিথরদেহ পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ১৬ আগস্ট টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে যান। কারণ, দুর্গম পথে যেতে সময় লাগবে ২২ থেকে ২৪ ঘণ্টা। তাই কেউ যেতে পারবে না। তাই বাবা-মায়ের কবরের পাশে মাটি দিয়ে সেখানে নিয়ে আসেন। সেখানকার মৌলভী সাহেবরা আপত্তি করলেন যে গোসল করতে হবে, কাফন দিতে হবে। কিন্তু এখন টুঙ্গিপাড়ায় ঢল ঢালছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা সদ্য ইন্তেকাল করেছেন। কিছু নেয়নি। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা, স্বাধীন মানচিত্র ও পতাকা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে এক টুকরো রিলিফ কাপড় দিয়ে দাফন করা হয়। আমার বাবা-মা শুধু এদেশের মানুষকে দিয়েছেন। কিছু নেয়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমার বাবা সারাজীবন লড়াই করে এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। তাই সব যন্ত্রণা সহ্য করে নীলাভ চোখে অপেক্ষা করছিলাম কবে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে পারব। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলেই বঙ্গবন্ধু প্রাণনাশের প্রকৃত প্রতিশোধ নিতে পারব। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছি। এই অগ্রগতি কেউ আটকাতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর রক্ত ​​বৃথা যাবে না এবং যাবে না।

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে এমন দেশ ও সংগঠনের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে প্রাণনাশের পর মানবাধিকার কোথায় ছিল? কোথায় গেল আমাদের মানবাধিকার? এমনকি বিচার চাওয়ার অধিকারও ছিল না। বাবা-মা, ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের ঘটনায় মামলা করা যায় না? আমরা কি বাংলাদেশের নাগরিক? আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে তারা কোথায় ছিল? বরং যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিচ্ছে তাদের (যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা) কাছ থেকে আমাদের মানবাধিকারের কথা শুনতে হবে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আবু আহমেদ মান্নাফী ও উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

আলোচনা সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। করোনা মহামারির কারণে প্রায় তিন বছর পর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় ব্যক্তিগতভাবে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভিন্ন ধরনের জাগরণ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। সম্মেলন কেন্দ্রের বাইরে হাজার হাজার নেতা-কর্মী হাত নেড়ে স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। সভাপতির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার সময়ে দেশের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে- এটা আমরা বুঝতে পারছি। এখন অনেক জায়গায় বৈশ্বিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের সবারই কিছু করার আছে। আমরা চাই না বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশে কোনো মানুষ কষ্ট করুক। তাই দেশের যারা বিত্তবান তাদের কাছে আমার আবেদন- নিজ নিজ এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং সহযোগিতা করুন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি। আমার দলের নেতা-কর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনাও দিয়েছি। আমরা কাজ করছি যাতে দেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন বা গৃহহীন না থাকে। দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন হবে না। আমরা যখন জায়গা দিয়ে বাড়ি বানিয়ে একজনকে নিজের ঠিকানা করি, তখন তাদের মুখের হাসি দেখে মনে হয় আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু) স্বর্গে বসে সব দেখছেন, তাঁর আত্মা শান্তি পাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাংলাদেশ গড়বো।

ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়ার ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিশ্বজুড়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানিসহ সব জিনিসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সারা বিশ্বে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় উন্নত দেশগুলো আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহে রেশন দিতে বাধ্য হয়েছে। এসব কারণে তেলের দামও বাড়াতে হয়েছে। কারণ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে জ্বালানির দাম সমন্বয় করতে হয়। আমরা আর কত ভর্তুকি দেব?

তিনি বলেন, জ্বালানিসহ পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি. আমরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেব। কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি পরিবার সাশ্রয়ী মূল্যে চাল, চিনি, ডাল ও অন্যান্য পণ্য কিনতে পারবে। দেশের মানুষের কাছে আমার বারবার অনুরোধ, বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি থাকে না। আমরা আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করব। ১৯৭৫ সালের পরের ঘটনা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় না এলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। হত্যার পর জীবিত দুই বোনের বিচারের জন্য আমরা দেশে-বিদেশে জনমত গঠনের চেষ্টা করেছি। দেশে আসতে পারিনি। ১৯৭৯ সালে শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেও আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে কত অপপ্রচার। জাতির পিতা, আমার ভাইসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। খাদ্য ভর্তি জাহাজ ঘুরিয়ে দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়েছে। এত কিছু করার পরও যখন বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা কমতে পারেনি তখন ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে ও তার পরিবারকে প্রাণনাশ করে।

বঙ্গবন্ধু প্রাণনাশকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাণনাশের পর ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিচার বন্ধ করে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। জিয়া নিজেই উদ্যোগ নেন এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভুট্টোকে দিয়ে লিবিয়ায় প্রাণনাশকারীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। জিয়া প্রাণনাশের সাথে জড়িত না থাকলে প্রাণনাশকারীদের আশ্রয় ও পুরস্কৃত করা হবে কেন?

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশকারী সুশীল নামে পরিচিত ব্যারিস্টার মইনুল পাশা ও হুদাকে নিয়ে প্রগাশ নামে একটি রাজনৈতিক দল করেছিলেন। এরশাদ ক্ষমতায় এসে প্রাণনাশকারী ফারুককে ফ্রিডম পার্টি গঠনের সুযোগ দিয়ে তাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে। খালেদা জিয়া আরেক ধাপ উপরে। তিনি খুনি রশিদ-ফারুক-হুদাকে ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে নির্বাচিত হতে দেন। প্রাণনাশকারী রশিদকে বিনা ভোটে সংসদে নিয়ে আসেন এমনকি বিরোধী দলের আসনেও বসেন। তারা কিভাবে বলতে পারে যে তারা বঙ্গবন্ধু প্রাণনাশের সাথে জড়িত ছিল না। শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনকে দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। আন্দোলন তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা বঙ্গবন্ধু প্রাণনাশের ক্ষতিপূরণ বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কত হু/মকি, বাধা। সে সময় কারা, কোন আইনজীবী প্রাণনাশকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, তা সবাই জানে। তিনি বলেন, বিচারক যাতে রায় ঘোষণা করতে না পারেন সেজন্য খালেদা জিয়া ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর হরতাল ডেকেছিলেন। তবে বিচারক ছিলেন অত্যন্ত সাহসী। বিচারের রায়ে আসামিদের প্রাণনাশদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়া আবারও বঙ্গবন্ধু প্রাণনাশের বিচার বন্ধ করে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা আবারও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করি। কিন্তু তারপরও হাইকোর্টের অনেক বিচারক প্রাণনাশের বিচার করতে বিব্রত বোধ করেন। তবে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি তোফাজ্জল হোসেনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তার নেতৃত্বে হাইকোর্টের রায়ের পরই আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ মানবাধিকারের কথা বলে আমাদের অনুমোদন দিয়েছে, তারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে। প্রাণনাশকারী রাশেদ যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে। ঘাতক নূর কানাডায় রয়েছে। যারা এই প্রাণনাশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে তাদের কাছ থেকে আমাদের মানবাধিকারের কথা শুনতে হবে। আমাদের কাছে তথ্য আছে- ঘাতক রশিদ লিবিয়া ও পাকিস্তানে যায়, আরেক প্রাণনাশকারী ভারতে লুকিয়ে আছে। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতির পিতাকে প্রাণনাশের বিচার করেছি কারণ দেশের মানুষ পরপর তিনবার ভোট দিয়ে দেশ সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। দারিদ্র্য বিশ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। শুধু শহরভিত্তিক উন্নয়ন নয়, আমরা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করছি। পদ্মা সেতু নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাণনাশকারীরা ভেবেছিল দুর্গম টুঙ্গিপাড়ায় কেউ বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করবে না। কিন্তু এখন প্রাণনাশকারীরা ও তাদের বন্ধুরা দেখুক প্রতিদিন কত মানুষ বঙ্গবন্ধুর মাজারে ভিড় করে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়েও নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ আমরা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, কিন্তু তারা তা প্রমাণ করতে পারেনি। কারণ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি দেশের মানুষের শক্তি। এই শক্তি থেকে আমি আমার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম এবং তা করেছি।

আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব, তাও দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। জয় বাংলা স্লোগান মুছতে পারেনি। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। দেশের নতুন প্রজন্ম বিকৃত ইতিহাস নয় প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। এই অগ্রগতি কেউ আটকাতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর রক্ত ​​বৃথা যাবে না, বৃথা যেতে দেবো না।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবনধু শেখ মুজিবরের সুযোগ্য কন্যা হলেন বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার বাবার স্বপ্নগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করছেন। বাংলার মানুষের সার্বিক মঙ্গলের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *