কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর নামক উপজেলার একটি এলাকায় সন্ধ্যার পর একসঙ্গে দাওয়াত খেতে যান আওয়ামী লীগের তিন নেতাসহ ৬ জন। কিন্তু তারা এক সাথে বাড়ি ফিরে আসার পর
একে একে সকলেই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত শনিবার অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারী এই ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ ঘটনার পর দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৫জনের প্রয়ান ঘটে।
অসুস্থ আরেকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের একজনের সুরতহাল প্রতিবেদনে অ্যাল”কো/’হলের বি”/ষক্রিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রয়াত পাঁচজন হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও জহির রায়হান জজ (৫৫), কুলিয়ারচর বাজারের হোমিও চিকিৎসক গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস (৫০), উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের চা দোকানদার লিটন মিয়া (৪৫) , গিয়াস ও জহিরের গাড়ির ড্রাইভার শাহজাহান মিয়া (৫০)।
এ ছাড়া কুলিয়ারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান ডিএমকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও প্রয়াতের স্বজনরা জানান, ডা. গোবিন্দকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোর ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস ও জহিরকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে ভোর ৪টার দিকে জহির এবং ভোর ৫টার দিকে হাসপাতালে প্রয়াত হন গিয়াস। ডাঃ গোবিন্দ সকাল ১০টার দিকে প্রয়াত হন।
এ ছাড়া চালক শাহজাহান শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে প্রয়াত হন বলে জানা গেছে। আর গতকাল বিকেল ৫টার দিকে লিটন প্রয়াত হন।
আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াসের ছোট ভাই সামসুদ্দিন হিমেল জানান, রোববার সন্ধ্যা থেকে তার ভাই অসুস্থ বোধ করেন। আশ”ঙ্কাজনক অবস্থায় গভীর রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ সেলিম জানান, হাসপাতালের রেজিস্টার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন বি”/ষাক্ত নিষিদ্ধ দ্রব্য পান করার কারনে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন। আর জহিরকে ভর্তি না করেই ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, অসুস্থ সবাই নিষিদ্ধ দ্রব্য পানে আস”/ক্ত। তারা বিশ্বাস করে যে তারা অ্যা”লকো/হল বি”/ষক্রিয়ায় প্রয়াত হতে পারেন। তবে ওই রাতে তারা নিষিদ্ধ দ্রব্য খেয়েছিলেন কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, গিয়াস ও জহিরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়ানের কারণ জানা যাবে।
বাজিতপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাজিতপুর থানার অধীন হওয়ায় তারা স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।
জয়নাল আবেদীন যিনি বাজিতপুর থানার এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি সুরথল রিপোর্টে গিয়াসের প্রয়ানের কারণ হিসেবে যেটা বলেছেন, সেটা হলো নিষিদ্ধ দ্রব্য পান এবং সেটাতে বি”/ষক্রিয়া হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তবে বাকি যে চারজনের প্রয়ান ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি।
রাসেল শেখ যিনি কিশোরগঞ্জ জেলার এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি এ বিষয়ে বলেন, নিষিদ্ধ দ্রব্যের বি”/ষক্রিয়ায় একজনের অবস্থার কথা বলা হলেও বাকিদের বিষয়ে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।