বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান এক সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে সকল মহলে পরিচিত। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অবহেলিত থাকার পর তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে যোগ দেন। ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতির পদ পান। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।
ফজলুর রহমান আবারো আওয়ামী লীগে যোগ দিতে যাচ্ছেন ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক বিরোধীরা। এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ সম্প্রতি দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এমন গুজব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
ফজলুর রহমান বলেন, আমি (ফজলুর রহমান) অনুভব করেছি যে আজকের আওয়ামী লীগ, এই আওয়ামী লীগে আমার কি দরকার? এই আওয়ামী লীগ তো চোর-বাটপাররা করবে।
রাতে ভোট দিয়ে এমপি হবেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। আবার হাততালি দিয়ে গলায় ফুলের মালা নিয়ে রাস্তায় হাঁটে। এটা ঘৃণা লাগে আমার কাছে। ভোট হয়ে যাবে এমনিতে বলে মনে করছেন বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতারা। সারাজীবন আদর্শের রাজনীতি করে আসছি, এই আওয়ামী লীগ করব?
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সমালোচনা করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর বলেন, আমাদের এলাকায় একটি গ্রাম আছে যারা চুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। শুধু তাই নয়, ভোটার তালিকায় নাম লেখার সময় পেশা জায়গায় নাম লেখে চুরি। এক কথায়- ওই গ্রামে সবাই চুরি করে। এদের মধ্যে শীর্ষ চোর জোয়াদ্দার চোর নামে পরিচিত। তাকে বাজারে দেখলে সবাই বলে জোয়াদ্দার চোরকে দেখেছি। সবাই সাবধানে থাকবেন।
আমি কেন চোরের দলে যোগ দেব? না হয় আমি পার্টি করবো না। যারা রাতে ভোট দিয়ে নিজেরাই হাসাহাসি করে। গরুর মাংস দিয়ে ভাত খান। পরদিন আবার তারা গলায় মালা দিয়ে মিছিল করে। আমাকে কেন এই দল করতে হবে? কেন এই দলের সাথে থাকতে হবে?
তিনি বলেন, আমি আজ ফজলুর রহমান। আমার কাছে টাকা নাও থাকতে পারে। এক কথায় টাকা নেই, পয়সা নেই। আমি এমপি-মন্ত্রী কিছুই না। কেউ আমাকে সালাম দেবে না কেউ।
কিন্তু আমার ছেলেকে কখনো ভোট চোরের ছেলে বলবেন না। আমার ছেলেকে কেউ ভোট ভোটডাকাতের ছেলে বলতে পারবে না। আমার ছেলেকে কেউ বলবে না- তুমি নিশিরাতের এমপির ছেলে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সন্তানদের ভোট ডাকাতের সন্তান বলা হবে। যদি তার সন্তান না হয়, সে তার ভাতিজাদের বলবে—তোমার চাচা ভোটচোর ছিলেন। তোমার চাচা প্রতিদিন মিথ্যা বলত।
বন্ধু ওবায়দুল কাদেরের কথা উল্লেখ করে ফজলুর রহমান বলেন, ওই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। আর ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমাকে ঐ পার্টি করতে বলেন আপনারা? যারা ভোট চুরি করে মন্ত্রী-এমপি হয়। রাজনীতি করব না।
অনেকেই বলছেন- ৭৬ বছর বয়সেও আপনি সুস্থ আছেন? আমি বলি- আমি সুস্থ কেন, জানো? তারা জিজ্ঞাসা কেন? আমি বলি- আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেন যাতে তারা যা করছে তার পরিণতি দেখতে পারি।