জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ একটা বিভ্রান্তিমূলক স্টেটমেন্ট দিয়েছে। জাতীয় পার্টির ফেভারে ২৬টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এই বক্তব্যের কারণে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের বদান্যতায় সংসদে গেছি বা সরকার সংসদে নিয়ে গেছে এটা আংশিক সত্য। সামগ্রিকভাবে এটা সত্য নয়। আমরা ফাইট করে এসেছি, উনারা শুধু নৌকা তুলে নিয়েছেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের ফেভারে একটি আসনও ছাড়েনি। সব জায়গায় তাদের লোক দিয়েছে, ফাইট করেছে। আমাদের প্রার্থীদের যে কোনোভাবে পরাজিত করা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন মহাজোট, অনেকেই বলেছেন সিট ভাগাভাগি হয়েছে। এ বিভ্রান্তি আওয়ামী লীগ ইচ্ছা করে করেছে অথবা ভুলে করেছে। তবে আমাদের চরম ক্ষতি হয়েছে। আমরা ৩০০ আসনে ফাইট দিয়েছি। যদি ৩০০ আসনে ফাইট একেবারে নিশ্চিতভাবে করতে পারতাম, তাহলে ফলাফল এর চেয়ে ভালো হতো। বিভ্রান্তির কারণে জাপা প্রার্থীরা নির্বাচনী পোস্টারে ‘সরকারদলের প্রধানের’ ছবি দিয়েছেন।
দলের সাম্প্রতিক সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন আমাদের দল বিভক্ত হবে। এই মুহূর্তে দল ভাঙার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। আরেকটি দল গঠন করা হতে পারে। এরশাদ সাহেবের নাম নিয়ে আদর্শ নিয়ে আরও ১০টি দল গঠন করা যেতে পারে। সেটার একটা প্রক্রিয়া আছে, যে কোনো লোক করতে পারে। তবে আমাদের যে দলের কাঠামোতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, সেখান থেকে নতুন করে দল গঠন করার কোনো পরিবেশ বা পরিস্থিতি দেখতে পারছি না। দলের ব্যাপারে মানুষের ধারণা খুব একটা ভালো নয়।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এটা আংশিক সত্য যে আমরা সরকারের বদান্যতায় সংসদে গিয়েছি বা সরকার আমাদের সংসদে নিয়ে গেছে। সামগ্রিকভাবে এটি সত্য নয়। আমরা লড়াই করেছি, উনারা শুধু নৌকা তুলে নিয়েছেন। আরেকজন বলে যে আমরা পরের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তাও আংশিক সত্য। আমরা এর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমি বলছি না দল ভাঙবে। তবে দলের মধ্যেই সংশোধন দরকার। এটা সংশোধন করতে না পারলে ভবিষ্যতে দলের প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা থাকবে না।