মুজিবুল হক চুন্নু এমপি যিনি জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী তিনি নিজেদের একটি পৃথক দল হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যে আদর্শ নিয়ে চলে সেই আদর্শের সাথে আমাদের দলের রাজনৈতিক আদর্শের কোন মিল নাই তারা দেশকে যেভাবে পরিচালিত করতে চাই সেভাবে দেশের মানুষ ভালো থাকতে পারে না তাই তাদের আদর্শের সাথে আমাদের কথা মিল নাই।
তিনি আরো যোগ করে বলেন, ‘আমরা ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বিশ্বাস করি, তারা ধর্মনিরপেক্ষতায়। যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক সময় কৌশলগত কারণে পিছু হটতে হয়। সাংগঠনিক শক্তি অর্জনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গেও নেই, বিএনপির সঙ্গেও থাকবো না। আমরা একা আছি ভবিষ্যতই বলে দেবে আমরা কি করবো।’
বুধবার বুধবার রাজধানী রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে জাতীয় ওলামা পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের প্রখ্যাত পীর মাশায়েখ আলেম উলামাদের সঙ্গে কথা বলে ইসলামের খেদমতের অনেক উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তৎকালীন ধর্মমন্ত্রী মরহুম মাওলানা আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে জমিয়তুল মোদারেছিনের মাধ্যমে সরকার মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করে। যা বিগত সরকারের আমলে একেবারেই ছিল না।
তিনি আরও বলেন, নয় বছর দেশ পরিচালনা করেছি। দেশ পরিচালনায় আমাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। সমমনা মানুষের সমর্থন নিয়ে আমরা এককভাবে ক্ষমতায় আসব ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী লীগ-বিএনপির কন্ডিশনে ৪০টি আসন পেলেও খবর আছে। দেশে ৫ কোটি মানুষ বেকার। দেশের মানুষ ভালো নেই।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই, ইসলামের জন্য কাজ করতে চাই। আপনারা আমাদের বিশ্বাস করতে পারেন। জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদের একজন শিক্ষিত, সৎ ও সাহসী ব্যক্তি। তিনি যেমন একজন প্রার্থনাশীল তেমনি একজন আধুনিক চিন্তাবিদও। সুশৃঙ্খল সম্মেলন আয়োজনের জন্য জাতীয় উলামা পার্টিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ইসলামের জন্য অনেক কিছু করেছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে অন্তর্ভুক্ত জাতীয় পার্টি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টি নিজেদেরকে একটি জোটছাড়া দল হিসেবে ঘোষণা করছে। জাপা নেতা জানিয়েছেন, নিজেদেরকে সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী করার জন্য আ.লীগের সাথে যুক্ত হয়েছিল জাপা। কিন্তু আ.লীগের আদর্শের সাথে মিল নেই দলটির, যার কারণে নিজস্বভাবে নির্বাচনে লড়তে চায় দলটি।