নির্বাচনে কৌশল হিসেবে এক পর্যায়ে এসে বড় ধরনের জোট গঠনে নামে বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ। সেই সময়ে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল জোট গঠনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হয়। যার কারণে শক্তিশালী হয়ে ওঠে ১৪ দলীয় জোট। অন্যদিকে, বিএনপিও অন্যান্য রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠন করে ২০ দলীয় জোট।
এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন কৌশল অবলম্বন করছে রাজনৈতিক দলগুলো। এদিকে, কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে ‘জোট’ গঠন করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিচ্ছে। তবে কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে শোনা যাচ্ছে, জাতীয় পার্টির একটি বড় অংশ বিএনপির দিকে ঝুঁকছে এবং কিছু অংশ আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকছে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
শুক্রবার (১৮ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তিনি আর জাতীয় পার্টি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে থাকবেন না। জাতীয় পার্টি একটি স্বতন্ত্র দল। কোনো দলের হয়ে লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করব না। যারা জনগণের পাশে থাকবে তাদের সঙ্গে হাত মেলাবে জাতীয় পার্টি।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নিজস্ব নীতি নিয়ে কথা বলবে। বাংলাদেশের জনগণের যে মালিকানা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পর্যায়ক্রমে সংবিধানের এমন সংশোধনী করেছে, তাহলে যারা ক্ষমতায় আসবে তাদের সংবিধান রক্ষায় স্বৈরাচারের মতো দেশ চালাতে হবে।
তবে জাতীয় পার্টি এককভাবে কতটা শক্তি পাবে সেটা নিয়ে অনেকের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে নিজস্ব কৌশল নিয়ে রাজনীতির মাঠে নামতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি। ইতিমধ্যে তারা আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দলটি এবারের নির্বাচনে প্রত্যেকটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।