সম্প্রতি আ.লীগের সভাপতি হতে চাওয়া নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে এসেছে একই পরিবারের চারজনের নাম। আর এ নিয়েই রীতিমতো গোটা এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে বিপুল শোরগোল। সভাপতির পদে একই পরিবারের চারজনের আসার বিষয়টি তেমন একটা ভালো চোখে দেখছেন না সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরাও।
বরগুনার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আজ শনিবার (২৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টায় তালতলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন একই পরিবারের চারজন। দুইজন ভাই এবং বাকি দুইজন চাচাতো ভাই। এ নিয়ে উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে দীর্ঘ দিন পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ জুলাই তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে রেজবি-উল-কবীর জমাদ্দারকে সভাপতি ও মুহা. তৌফিকুজ্জামান তনু। নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ তিন বছর হলেও আট বছরেও সম্মেলন হয়নি। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করতে আজ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদ চেয়ে এক পরিবারের চার সদস্য কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আবেদনপত্র জমা দেবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তারা হলেন বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি-উল-কবীর জমাদ্দার, তার চাচাতো ভাই বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা. তৌফিকুজ্জামান তনু, তনুর বড় ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মিন্টু এবং মিন্টুর মামা সাবেক তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক জমাদ্দার।
সম্মেলন সম্পর্কে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান বলেন, গত আট বছর ধরে দলকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করেছি। তাতে আমি সফল হয়েছি। কিছু ব্যর্থতা থাকতে পারে। এই সম্মেলনে দলের কাউন্সিলর ও সিনিয়র নেতারা আমাকে আবার দায়িত্ব দিলে দলকে পুরোপুরি শক্তিশালী করার চেষ্টা করব।
এদিকে এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন তপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আয়োজিত এই সম্মেলনে যাতে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে, এজন্য আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।