ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কিংবা পৌরসভা নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের অবস্থা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে অনেক সময় এ বিষয়টি নিয়ে হিসাবে গড়মিলও হতে পারে। তবে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মাঝে মাঝে পরাজয় নেতাকর্মীদের হতাশ করে দেয়। এবার ঝিনাইদহ জেলার ছয়টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল পৌরসভা ঝিনাইদহ সদর। গত ১১ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আবদুল খালেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের কাছে হেরে যান। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি দলের নেতারা। পরাজয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নেতাকর্মীরা পরাজয়ের জন্য জেলা নেতাদের দায়ী করেন। অনেক নেতা প্রকাশ্যে কাজ করলেও গোপনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেছেন। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে জেলা কমিটির নেতারা তাকে পাশ কাটিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেক নেতাকর্মী। কারণ আগামী সংসদ নির্বাচনে এমনটা হলে দলটির জন্য সংসদে জয়ী হওয়া কঠিন হবে।
বর্তমানে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন ৩ বিদ্রোহী প্রার্থী। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কনক কান্তি দাসের পক্ষে শেষ পর্যন্ত জয় পাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে। দ্ব’ন্দ্ব শুধু জেলার রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ নয়। এটি জেলা-উপজেলা, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে। সে কারণে প্রায় সবকটি ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হন। ফলে সাধারণ মানুষের হাতে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা তুলে দিতে পারছেন না আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসব নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তারা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বড় যে দলগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে কোন্দল অবশ্যই দেখা দিবে, কিন্তু সংসদ নির্বাচন আসলে সেই কোন্দল আর থাকে না, সকলে এক হয়ে কাজ করে। বর্তমান সময়ে আমরা ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচনসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনগুলোতে কেন পরাজয় ঘটছে, তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি এবং নিবিড়ভাবে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষন করে চলেছি।