ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান বলেন, দলমত নির্বিশেষে জনগণ আমাকে ভালোবাসায় বরণ করেছে। আওয়ামী লীগ নেতারা আমাকে সমর্থন করেছেন। ভোটের মাঠে এটা আমার জন্য প্লাস পয়েন্ট।
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাংশ। এর মধ্যে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দুজন।
তারা হলেন নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি রুমা আক্তার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সরকার।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। মূলত একরামুজ্জামানকে তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন রাজনীতিবিদ ও ভোটাররা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে একরামুজ্জামান ঢাকা থেকে নাসিরনগর উপজেলা সদরে গেলে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থ সম্পাদক রুমা আক্তারের স্বামী নাজির আহমেদসহ সর্বস্তরের মানুষ তাকে স্বাগত জানান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান রুমা আক্তার ও মনিরুজ্জামান। তারাও মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র পদে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে তাদের সমর্থক ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষর সমান হওয়ায় দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে এরই মধ্যে একরামুজ্জামানকে সমর্থন দিয়েছেন রুমা আক্তার ও মনিরুজ্জামান সরকার। এছাড়া নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফারুকুজ্জামান ফারুকসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী একরামুজ্জামানের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন একরামুজ্জামান। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গত ২৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদসহ দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করে। একরামুজ্জামান আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমি ও আমার স্বামী স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানকে সমর্থন করছি। কারণ সাধারণ মানুষ তাকে ভালোবাসে।
দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কেন সমর্থন করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাকে (বর্তমান সংসদ সদস্য) পছন্দ করি না। পাঁচ বছরে নাসিরনগরের কোনো উন্নয়ন হয়নি। এলাকার উন্নয়নে একরামুজ্জামানকে সমর্থন দিয়েছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের জানান, এলাকার উন্নয়নে একরামুজ্জামানকে সমর্থন করার জন্য আমার পক্ষের ভোটার ও সমর্থকরা অনুরোধ করেছেন। তিনি একজন ভালো এবং জনপ্রিয় ব্যক্তি। তিনি সংসদ সদস্য হলে এলাকার উন্নয়ন হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন বলেন, দলীয় প্রার্থী যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তাকেই লিখিতভাবে দিয়েছেন। আমরা দলগতভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।