ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এক কিশোর-কিশোরীর ঝগড়ার জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে, যার ফলে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সালথা-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়কের গট্টি ইউনিয়নের মেম্বার গট্টি এলাকায় এ সংঘর্ষ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে, যা পুরো এলাকাকে রণক্ষেত্রে পরিণত করে এবং সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেম্বার গট্টি গ্রামের আওয়ামী লীগ সদস্য মো. রফিক মাতুব্বর ও গট্টি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মো. আজিজ মোল্যার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। শুক্রবার বিকেলে রফিকের সমর্থক নুরুল ইসলামের ছেলের সঙ্গে আজিজের সমর্থক মুকুলের মেয়ের ঝগড়ার জেরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে, যা পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার ভোর ৬টার দিকে সালথা-ফরিদপুর সড়কে রফিকের বাড়ির সামনে উভয় পক্ষের প্রায় ৫০০ জন দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আশপাশের ১০টি গ্রামের মানুষও যুক্ত হয়, ফলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর আকার ধারণ করে। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলা এই সংঘর্ষে রফিক ও আজিজের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, যার ফলে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
এ ঘটনায় বক্তব্য নেওয়ার জন্য রফিক মাতুব্বর ও আজিজ মোল্যার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান শাকিল জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে বিপুলসংখ্যক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।