আ.লীগের অস্তিত্ব থাকত না, বোন হাসিনা-রেহানারা রাজনীতির সুযোগ পেতেন না: কাদের সিদ্দিকি

যাদের দেশের স্বাধীণতা অর্জনের পিছনে অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি ( Bangabir Kader Siddiqui )। বাংলাদশের স্বাধীনতা যু/দ্ধে তিনি ছিলেন অন্যতম সমরনায়ক। স্বাধীনতা যু/দ্ধে তার শ্রেষ্ঠ অবদানের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। আওয়ামীলিগের মতো ক্ষমতাসীন দলের প্রতিও তার অবদানের কোনো কমতি ছিল না। তিনি এবার মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ( Awami League ) অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলেছেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি ( Bangabir Kader Siddiqui ) বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হ’/’ত্যার পর আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। সেদিনের সেই প্রতিবাদ না করলে আজকের আওয়ামী লীগের ( Awami League ) অস্তিত্ব থাকত না। বৃহস্পতিবার ( Thursday ) (২৪ মার্চ ( March )) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হ’/’ত্যার পর আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। সেদিনের সেই প্রতিবাদ না করলে আজকের আওয়ামী লীগের ( Awami League ) অস্তিত্ব থাকত না। আমার বোন শেখ হাসিনা-রেহানারা ( Sheikh Hasina-Rehanara ) পরবর্তীতে এসে দেশে রাজনীতির সুযোগ পেতেন না।

কাদের সিদ্দিকি বলেন, এ দেশে বঙ্গবন্ধুকে হ’/’ত্যা করা হবে এটি ছিল অকল্পনীয়। বঙ্গবন্ধুকে গু’/’লি কতে হ’/’ত্যা করা হয়েছে, এটি কেউ বিশ্বাস করতে পারছিল না। তাইতো বঙ্গবন্ধুকে হ’/’ত্যার পর সেভাবে দেশে প্রতিবাদ করা হয়নি। তবে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ছোট পরিসরে হলেও সেদিন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি ( Bangabir Kader Siddiqui ) বলেন, দেশেরই একটা সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী আছে, যারা নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য বঙ্গবন্ধুকে বিক্রি করছে। যার ফলে যেমন বঙ্গবন্ধুর নাম খারাপ হচ্ছে, তেমনি ইতিহাসে তার অবদানের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি ও নাম দিয়ে অপপ্রচার চলছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগের ( Awami League ) কিছু নেতাদের দেখলে বি’রক্ত লাগে। বিপদের সময় এরা সবাই গা ঢাকা ( Dhaka ) দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হ’/’ত্যার পর কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেনি। আর আজ যখন আওয়ামী লীগের ( Awami League ) সুদিন চলছে, তখন গুহায় ঢুকে থাকারাই আজকের বড় বড় রাজনীতিবিদ। এরা দেশের জন্য না, নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য মিষ্টি কথা বলে আর পকেট গরম করে। এরাই দেশে দুর্নীতি করে, বিদেশে টাকা পাচার করে।

কাদের সিদ্দিকি আরো বলেন, তবে, কিছু ভালো মানুষ অবশ্যই আছে। গুটিকয়েক ভালো মানুষের জন্যই দেশটা টিকে আছে। দু-একজন ভালো মানুষ আছে বলেই এখনও দেশে ভালো কাজ হচ্ছে। এরাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক। যারা দেশকে ভালোবাসে আমি তাদেরকে ভালোবাসি। আর একবার যাকে ভালোবাসি, তাকে কখনও ভুলতে পারি না। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না, আমি তাদের কোনোদিন বাংলাদেশি হিসেবে মানি না।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদের ( Dr. Abu Sayyid ) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ( Shamsuddin Chowdhury Manik ), সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) এম হারুন-উর-রসিদ ( M. Harun-ur-Rashid ) (বীর প্রতীক), বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসিন মিন্টু ( Mostafa Mohsin Mintu ), জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান ( Shafiqur Rahman ) প্রমুখ।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি ( Bangabir Kader Siddiqui )কে একসময় বাঘা বীর নামেও ডাকা হতো। তিনি হলেন বাংলার বীর ও দামাল ছেলে। বাংলার প্রতি অবদান বাংলার মানুষ তার এই অবদানের কথা মনে রাখবে চিরদিন।