সম্প্রতি দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগকে আবারও একক ভাবে সমর্থন করে তাদের পাতানো ভোটকে বৈধ্যতা দিয়েছে ভারত। যার ফলে দেশের গনতান্ত্রিক মানুষ তাদের ভোটের অধিকার হারিয়েছে। অথচ ভারতে পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আভ্যন্তরীন বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করবে না।কিন্তু বাস্তবে কি ঘঠেছে তা দেশের ১৮ কোটি জনগণ দেখেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য আওয়ামী লীগ, কেউ কেউ বলেন হাসিনা ভারতীয় পণ্য। একজন তো আমাকেই বলেছিলো ভারতীয় পণ্য। কেউ বলেন রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় পণ্য।
রেটোরিক হিসেবে হয়তো কথাগুলোর মুল্য আছে। কিন্তু ভেবে দেখেন, শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কী দোকানে বা শো রুমে বা অনলাইনে বিক্রি হয়? না হয়না। তাহলে আমি হাসিনাকে পণ্য বলে সেইটাকে বয়কট করতে বলে আসলে মানুষকে কী করতে বলতেছি? কীভাবে হাসিনাকে বয়কট করবে, বা আওয়ামী লীগকে কীভাবে বয়কট করবে? সেইটা বলেন। কোন একশন দিয়ে বয়কট কার্যকর করবে? আমরা বলতেছি “ভারতীয় পণ্য কিনবেন না”। আপনাদের এইরকম একটা একশন বলতে হবে যা করলে হাসিনা বা আওয়ামী লীগ বয়কটের কাজটা সম্পন্ন হবে।
বা ধরেন রবীন্দ্রনাথকে কীভাবে বয়কট করবে। হ্যা একটা হতে পারে রবীন্দ্রনাথের লেখা বই বা রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত বই কিনবে না, রবীন্দ্রনাথের গান শুনবে না। কিন্তু হাসিনা বয়কটের তরিকা কী?
আবার ধরেন যে রবীন্দ্রনাথের গান কখনো শুনে নাই, বা বই কিনে নাই সে কীভাবে রবীন্দ্রনাথকে বয়কট করবে?
আমি একটা টার্গেট নিবো সেটাকে আমি মেজার করবো কীভাবে যে সেটা আদৌ এচিভ করলাম কিনা?
হাসিনা, আওয়ামী লীগ, রবীন্দ্রনাথ এইসবকেও যখন “পণ্য” বইলা দাবী করা হয় তখন। মানুষের মাথায় “পন্য” নামের ধারণাটাই পাল্টায়ে যায়। এইটা পলিটিকাল মুভমেন্টের জন্য একটা ডিজাস্টার। রাজনৈতিক বয়ান ভাষা দিয়েই কমিউনিকেট করতে হয়। ভাষাই রাজনীতি। সেই ভাষা, সেই এক্সপ্রেশনের টুপকি মার্লে রাজনীতিটাই মার খায়। আমি তাদের বয়ানের বিরোধিতা করতেছি না। কিন্তু জানায়ে রাখলাম এইসব বয়ানের কারণে বয়কট আন্দোলনের ক্ষতি হয়। এই ক্ষতি সামলাইতে আমাদের কথা বলতে হয়, গুরুত্বপূর্ণ কাজ পিছায়ে যায়।
তাজ হাশমী সাহেব দমে দমে পোষ্ট দিতেছেন, কিছু না বুইঝ্যাই। আমি সরি এইভাবে বলতে হইলো উনারে নিয়া। উনার দাবী ইন্ডিয়ান ট্রাক বয়কট করতে হবে। ফেয়ার এনাফ। তো উনি ট্রাক যারা কিনে তাদের কাছে গিয়া ক্যামপেইন করেন না কেন? আমি আপনি তো ট্রাক কিনিনা। তাজ হাশমীর ট্রাকের ব্যবসা থাকলে উনি ইন্ডিয়ান ট্রাক না কিনুক। ট্রাক বাংলাদেশের কয়টা মানুষ কিনে? আর তারা আমার আপনার কথা শুনবে কেন? তাজ হাশমী যদি মনে করেন ইন্ডিয়ান ট্রাক বয়কট করাটা খুব ক্রুশিয়াল। উনি বয়ান তৈরি করুক তো। তারপরে ট্রাক কারা কিনে তাদের আইডেন্টিফাই করে তাদের কাছে মেসেজ পৌছায়ে দেখাক তো কেমন পারেন উনি। ইন্ডিয়ান ট্রাক যারা কিনে তাদের ট্রাক বয়কটে রাজি করাইতে হবে না, শুধু ক্যাম্পেইন তৈরি করবেন আর টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌছাইবেন মেসেজটা। আমি উনারে গুরু মানবো তাইলে। খালি আওয়াজ দিলেই তো হবেনা, কাজটা করে দেখাইতে হবে। উনার কাজ তো আমি করে দিবোনা।
যাই হোক বয়কট নিয়া আপনার প্রতিশ্রুত ভিডিও করেন তাজ হাশমী সাহেব। অপেক্ষায় আছি। পর্যাপ্ত হোম ওয়ার্ক কইরা নিয়েন। আবার আগের মতো ব্লান্ডার কইরেন না, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া থিকা ওষুধ আমদানি করে এইসব ভুলভাল না কইরা। গুড লাক।