কয়েকদিন আগে দুবাইয়ে শেষ হলো টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর, আর এই আসরে আশানুরুপ পারফরমেন্স দেখাতে পারেনি বানলাদেশের টাইগাররা। এর কারনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। খারাপ পারফেন্স যেটা হয়েছিল বাংলাদেশ দলে সেটা নিয়ে সাবেক গ্রেটরাও সমালোচনা করেছেন। এদিকে বিশ্বকাপে ‘আয়না’য় মুখ দেখা এমন ধরনের মন্তব্য করার পর সমালোচিত হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ‘ট্রোল’-এর শিকারও হয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্স করার পরে এবার দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। তারপরও মুশফিকের পিছু ছাড়ছে না ‘আয়না’ নিয়ে করা সেই মন্তব্যের সমালোচনা।
আজ বুধবার কালের কণ্ঠকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপে বলা কথাটার ব্যাখ্যায় মুশফিক বললেন, ‘বাইরে কথা তো হয়ই। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের অনেকের কাছ থেকে জেনেছি যে অনেক কথা হয়েছে। আমরা যেসব কথা বলেছি, সেগুলোর অনেক প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
তিনি রো বলেন, আসলে ওই সময়টায় এত চাপের মধ্যে থাকি, বিশ্বকাপ এত বড় ইভেন্ট, সেখানে বাইরে কে কী বলল, সেসব দেখে বা শুনে কিংবা ওসব ধরে রেখে পাল্টা প্রতিক্রয়া দেখানো, ওসব করা কঠিন। ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনও করিনি। আমার কথায় যদি ফিরে আসেন, আসলে আমি ইঙ্গিত দিতে চেয়েছি, মানুষ হিসেবে শুধু আমি নই, জাতি হিসেবে আমরা সবাই নিজেদের একটু আয়নার সামনে দেখতে পারি, সেটা মানুষ হিসেবেই উচিত।’
আজকে আমি খারাপ খেলছি দেখে আমাকে বলবেন, কালকে ভালো খেললে তালি দেবেন, এটা এসবের অংশ নয়। সেদিক থেকে বলেছি। এখন কেউ যদি এটা ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে থাকেন বা অন্যভাবে বলে থাকেন, তাহলে আমি মনে করি আমি যেহেতু ওভাবে বলিনি, সে ক্ষেত্রে কে কী মনে করল, এটায় আমার কিছু করার নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা খারাপ করায় মিডিয়া বা দেশের মানুষ, সবারই খারাপ লেগেছে। তবে আপনারাও (মিডিয়া) কিন্তু একটা অংশ। সবারই ব্যর্থতার অংশ এটি। এই উপলব্ধি থাকা উচিত। আমাদের যতটা খারাপ লেগেছে, অন্যদের হয়তো অতটা থাকবে না। তবে এটা সামগ্রিক একটা ব্যর্থতা। আমার কাছে মনে হয়, ব্যর্থতার জায়গাটায় যদি আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারি, পরস্পরের পাশে থাকি, তাহলে সময়টা দ্রুত পার হবে।’
এদিকে, পাকিস্তানের সাথে টি-টুয়েন্টির ৩ টি ম্যাচ এবং টেস্ট ম্যাচ থেকে বাইরে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ককে। তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বলে হয়েছে, মুশফিককে সামনে টেস্টে অংশ গ্রহন করার পর যাতে ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারে তাই থাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। কিন্তু মুশফিক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাকে রাখা হয়নি, স্রেফ বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি যোগ করে বলেন, এটা ক্রিকেট জগতে একটা স্বাভাবিক বিষয়, তাই এটা নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারন নেই।