ধনী ও প্রভাবশালী লোকদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তাদের সঙ্গে ‘শারী’রি’ক স’ম্পর্ক কর’তেন অর্চনা নাগ নামে এক তরুণী। আর গোপনে স্ত্রীর এই ঘটনার দৃশ্য ভিডিও করতেন স্বামী জগবন্ধু চাঁদ। এরপর আপ’ত্তিক’র এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন এই দম্পতি।
এ ঘটনায় অর্চনার স্বামী জগবন্ধু চন্দ’কে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভুবনেশ্বরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় জগবন্ধুকে। আদালতের নির্দেশে জগবন্ধু বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
অর্চনার স্বামীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভুবনেশ্বরের ডেপুটি কমিশনার প্রতীক সিং বলেন, অর্চনার সঙ্গে জগবন্ধুও এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা অর্চনা কীভাবে রাতারাতি ধনী হয়ে উঠলেন, তার তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। কালাহান্ডির একটি প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে ছিলেন অর্চনা। কী ভাবে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উপার্জন করা যায়, এই পথই খুঁজছিলেন অর্চনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অধিক অর্থ উপার্জনের সহজ উপায় খুঁজতে গিয়ে অর্চনা ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করে। এবং স্বামী জগবন্ধুও এই কাজে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন। প্রথমে বন্ধুত্ব করতেন, এরপর তিনি তাদের বাড়িতে ডেকে মহিলাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ দিতেন। অর্চনার বিরুদ্ধে ওইসব লোকের চাহিদা অনুযায়ী নারী সরবরাহ করারও অভিযোগ উঠেছে। অর্চনা বেছে বেছে ধনী এবং প্রভাবশালীদের সাথে বন্ধুত্ব করেছিলেন। এরপর তিনি তাদের বাড়িতে ডেকে মহিলাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ দিতেন। অর্চনার বিরুদ্ধে ওইসব লোকের চাহিদা অনুযায়ী নারী সরবরাহ করারও অভিযোগ উঠেছে। অর্থ উপার্জনের জন্য অর্চনা নিজে প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ হতেন। তাদের সঙ্গে শা’রী’রিক ‘সম্প’র্কে লি”’প্ত হতে’ন। এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অতিরিক্ত টাকা রোজগারের নেশায় মত্ত থাকতেন অর্চনা ও তাঁর স্বামী। উদ্দেশ্য ছিল এই ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করা। অর্চনা ও তার স্বামী জগবন্ধুও সেই উদ্দেশ্য সফল করেছিলেন। দরিদ্র পরিবারের একটি মেয়ের জীবনযাত্রা রাতারাতি বদলে গেল। তার বিলাসবহুল জীবনধারা চোখ ধাঁধানো।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভুবনেশ্বরে অর্চনার ৩ কোটি টাকার প্রসাদোপম বাংলো রয়েছে। এ ছাড়া খামারবাড়ি আছে। বিলাসবহুল বাড়ি ছাড়াও গাড়ির প্রতিও অর্চনার প্রবল আগ্রহ রয়েছে। পুরো গাড়ির শোরুম আছে বলে দাবি করেন তিনি। অর্চনার গ্রেপ্তারের পর ওড়িশায় তোলপাড় শুরু হয়। বাড়ি থেকে উদ্ধার করা তার মোবাইল ফোন এবং হার্ডডিস্ক পরীক্ষা করার পরে, পুলিশ একজন বিধায়কের সাথে অর্চনার ছবি এবং হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন খুঁজে পেয়েছে।
এদিকে ওই তরুণীর বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, গত ৪ বছর ধরে এমনই অসামাজিক কাজে নিজেকে সক্রিয় রেখেছিলেন তিনি। বর্তমানে তার সম্পত্তির পরিমান গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটিতে। এছাড়াও নিজেকে আইনের উর্ধতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।