২৮ নভেম্বর সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছড়িয়ে পড়ে। হামলা মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী বাড়ি ছাড়াই এলাকার বাইরে রয়েছেন। আন্দোলনে রাজপথে দেখা যাচ্ছে না দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের। গ্রেফতার আতঙ্কের মধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহুল কবির রিজভীকে হরতাল অবরোধ করতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং করতে দেখা যায়। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতাদের বেশির ভাগই ঘাড় ঢেকে রেখেছেন। কেন্দ্রীয় নেতার অনুপস্থিতিতে যুবদল স্বচ্ছসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রাজধানীতে পিকেটিং করতে দেখা যায়। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অনুপস্থিতিতে আন্দোলন তার গতি হারাতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন অনেকে। বিগত দিনের মতো ঢাকার নেতাদের ব্যর্থতায় আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে।
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে দলের হাইকমান্ড নেতাদের বেরিয়ে এসে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, বিএনপি কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড দল নয়। তাই পেছন থেকে আন্দোলন নয়। আমরা শিগগিরই গণগ্রেফতার থেকে রাজপথে নামব।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বাবনে বনে রাত কাটাতে হচ্ছে। যারা হাজার হাজার মামলা নিয়ে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন তারা আরও শক্তিশালী ও উজ্জীবিত হয়েছেন। আমাদের আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিজয় খুব সন্নিকটে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ২৮ তারিখের ঘটনার জন্য নেতাকর্মীরা অপ্রস্তুত ছিল। ধীরে ধীরে দলটি সারা দেশে সংগঠিত হয়েছে। আন্দোলন আরও তীব্র হবে। আর নেতাকর্মীরা দৃশ্যমান হবে।
জানা গেছে, যেসব নেতাদের এই আন্দোলনে প্রকাশ্যে দেখা যাবে না বা যাদের নিষ্ক্রিয়তা দলের প্রতিফলন হবে তাদের ব্যাপারে বিএনপির হাইকমান্ড কঠোর অবস্থান নেবে। সেক্ষেত্রে যেকোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পুরোপুরি মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।