চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। আর এই নির্বাচন আয়োজন ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কমিশনের বাজেট চেয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই বাজেটের অর্ধেক ইভিএম মেরামতে ব্যয় করতে চায় ইসি। এছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ মোট ৩৯৩৫ কোটি টাকার বাজেট চেয়েছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সংগঠনটির সচিব ফাতেমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে নির্বাচন কমিশন তাদের দাবিগুলো তুলে ধরে।
দ্বাদশ ভোটের বাজেটে ইভিএম মেরামতে এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সংস্থাটি। তবে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৭০০ কোটি টাকা। সে হিসেবে দ্বাদশ ভোট আয়োজনে সাড়ে তিন গুণের বেশি ব্যয় করতে চায় বর্তমান কমিশন। কমিশন জানায়, এই ব্যয় মূলত ইভিএম মেশিন ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে। ইভিএম মেশিনের ব্যবহার বাড়ালে খরচ বাড়বে। ভোটে ইভিএম ব্যবহার কমানো হলে খরচ কমবে। বাজেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও কয়েকটি বৈঠকের প্রয়োজন। এর বাইরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে এমন আসনের সঠিক সংখ্যার ভিত্তিতে ব্যয় সমন্বয় করা সম্ভব বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা।
ব্যয় কমানো যাবে না জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন,ভোট তো করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনে এই ব্যয় অত্যাবশ্যকীয়। অত্যাবশকীয় ব্যয় কমালে নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যাবে। ইভিএমের মোরমতের জন্য চাওয়া হয়েছে। ব্যবহারযোগ্য সবুগলো ইভিএমের ব্যাটারি লাগেবে বলে জানান এই কমিশনার।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ সচিবের সভাপতিত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। সেখানে আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরেছি। এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, ইভিএম মেরামতের জন্য দ্বাদশ ভোটের বাজেটে ১ হাজার ২৬০ টাকা রাখা হয়েছে। তারা ব্যয় কমানোর কথা বলেছেন। আরও বেশ কয়েকটি মিটিং সমন্বয় করা যেতে পারে।
দ্বাদশ সংসদ ভোটে কত আসনে ইভিএমে ভোট করবে কমিশন সে সিদ্ধান্ত নিলে এটা উপর ভিত্তি করে সমন্বয় করা যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সিটিজেন ফর গুড গভর্নেন্স (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলছেন, আমাদের দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এ ব্যয়ে কোনো সমস্যা হতো না। বাণিজ্য হলে এসব খরচ বাদ দেওয়া যেত। তাহলে এই ব্যয় নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠতো না। দুর্ভাগ্যবশত তা হচ্ছে না। বে, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে এই ব্যয় অপচয় অপচয় হবে বলে মনে করছেন তিনি