Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / opinion / আসিফ বব্বর টিকে গেছে চাটাচাটি স্বভাবের কারণে: মিলি

আসিফ বব্বর টিকে গেছে চাটাচাটি স্বভাবের কারণে: মিলি

শিল্পীরা তাদের যোগ্যতা দিয়েই ভোক্তদের হৃদয়ে স্থান করে নেন।কারণ নিজের যোগ্যতা ছাড়া কেউ শিল্পী ভুবনে টিকে থাকতে পারে না।হয়তো কিছু দিন বিভিন্ন ভাবে নিজেকে অনেকের সামনে তুলে ধরা চেষ্টা করে কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না।কন্ঠের জাদু দিয়েই সে আজীবন বেঁচে থাকে ভোক্ত ও শ্রোতাদের মাঝে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।

বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন সময় আসিফ বব্বর বলেছিল, আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের সে কোনো ক্যাটাগরিতেই ফেলেনা। এভাবে দম্ভভরে কথা বলার ধরণ দেখে স্পষ্ট হয়েছিল, কেন কুমিল্লার মানুষ এককালে তাকে “পুইট্টাখোর” বলে ডাকতো। পুইট্টাখোর বলার কারণ হল আসিফ বব্বরকে কৈশোরে মা/দকাসক্তি পেয়ে বসেছিল। এক চিলম গাঞ্জা না খেলে তার রাতের ঘুম হতোনা। সে পুইট্টাখোর বলেই তার পক্ষে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের অপমান করা সম্ভব হয়েছে। আমি যখন পুইট্টাখোর আসিফের বক্তব্যের সমালোচনা করেছি তখনই তার ভেতরের জানোয়ার জেগে ওঠে। সে তার তৃতীয় শ্রেণীর ভক্তদেরকে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। আচ্ছা, আমার বাসস্থানের দারোয়ান নাইট ডিউটি দেয়ার সময় যখন গলা ছেড়ে “ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়” গানের সুর ধরতো সেটা নিশ্চয়ই আমার দোষ নয়। আসিফ বব্বর ও তার সারমেয় বাহিনী আমার উপর গোস্বা করে। শুধু গোস্বা করেই সে বসে ছিলনা। আমার তালিকায় যুক্ত নারীদের ইনবক্সে হানা দিয়ে নিজের কুখ্যাত পৌ/রুষদন্ড সঞ্চালনের হু/মকিও দিয়েছে। এত অশ্লীল শব্দগুলোর স্ক্রিনশট টাইমলাইনে শেয়ার দেয়ার উপযুক্ত নয়। আমি একা নই, এই বব্বর গায়িকা ন্যান্সি, দিনাত জাহান মুন্নী, টিভি অভিনেত্রী দিপা খন্দকারকে নিয়ে বিতর্কিত হয়েছে এককালে। গায়িকা ন্যান্সির সম্পর্কে মাতলামি করেছে প্রচুর। তারপর ন্যান্সির হাতেপায়ে ধরে তার কাছে মাফ চেয়ে কান্নাকাটি করেছিল। অভিনেত্রী দিপা খন্দকারকে এক্সপোজ করেছিল তার বায়োগ্রাফিতে। দিপার মাথা নষ্ট হয়েছিল কি এক কুক্ষণে তার সাথে অ্যাফেয়ারে জড়িয়ে পড়েছিল। লোকে বলে, দিপার রুচি এত খারাপ হল কি করে?

শুনলাম আবারও মা/দকাসক্ত আসিফ বব্বর আমার বিরুদ্ধে মনের ঝাল মিটিয়েছে। সে কি ভুলে গেছে স্টুডিওতে সংগীত পরিচালক ইথুন বাবুর ফুট ফরমায়েশ খেটেখুটে কয়েক ডজন স্যান্ডেলের তলা ক্ষয় হয়েছে তার??এককালে শ্রুতি স্টুডিওতে ইথুন বাবুর কাজের ছেলেটি সবার জন্য চা নাশতা পরিবেশন করতো। সে এসেছে সুবিধাবঞ্চিত পরিবার থেকে। যেমন এসেছিল বিউটি নোলকবাবু। ধূর্ত না হওয়ার কারণে বিউটি নোলকবাবু সংগীত জগতে টিকতে পারেনি। কিন্তু আসিফ বব্বর টিকে গেছে চাটাচাটি স্বভাবের কারণে। নগর বাউলের জেমস এই বব্বরকে গোনায় ধরেন না। আর সুস্থধারার শ্রোতারাও এই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী গায়ককে গোনায় ধরেনা। শুনেছি এই ব্যক্তি সারাক্ষণ মদে ডুবে থাকতো। বায়োগ্রাফিতে সে তার ম/দ খাওয়াকে জায়েজ করেছে ল্যাং/ড়া যুক্তি দিয়ে। ডাক্তারের পরামর্শে সে মদ খায়– চমৎকার অ্যাপ্রুভাল। এদেশের সঙ্গীত জগতে ইভটিজার গায়ক একজনই আছে–আসিফ বব্বর। সে যে গ্রেট ডমেস্টিক ভায়োলেন্স করে তার নমুনা দিয়েছে তার বায়োগ্রাফিতে। যেমন, তার স্ত্রী বিয়ের আগে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। তার স্ত্রী বয়সে তার চেয়ে বড়। এভাবে বায়োগ্রাফি লিখিয়ে নিজের স্ত্রীকে ছোট করে নিজেকে হয়ত বড় জাহির করেছে ই/ভটিজার বব্বর। ঘুমিয়ে থাকার কারণে দরোজা না খোলার অপরাধে স্ত্রীকে সে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিল শিশুপুত্রসহ। স্ত্রী পরদিন দুপুর পর্যন্ত বাসার সিঁড়িতে বসেই রাত কাটিয়ে দেয়। বায়োগ্রাফির কয়েক জায়গায় মনে হয়েছে তার স্ত্রী ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার। এই ইভটিজার বি/কৃতকামীও। নিজের চেয়ে ২০ বছরের ছোট একটা মেয়ের সাথেও অ্যাফেয়ারে জড়ায়। যে মেয়ে তাকে মামা ডাকতো। তার স্ত্রীকে মামী ডাকতো। বিকৃতকামী বলেই ভাগ্নীর প্রতি তার কাম লালসা জাগে।

আসিফ বব্বরকে ইভটিজার বলার যুতসই কারণও আছে। স্বনামধন্য সুরকার শওকত আলী ইমনের দুই লাখ টাকা লোপাট করে দিয়েছিল। নানা কাহিনী ফেঁদে নিজের বাটপারিকে জায়েজ করেছে। আসিফ বব্বর তার বায়োগ্রাফিতে এমন কয়েকজন সঙ্গীত তারকাকে নির্বাচন করেছে, তাদেরকে অপমান করে নিচু দেখিয়েছে। সবই সে করেছে তার বইয়ের কাটতি বাড়ানোর জন্য। হাস্যকর কথা হল, সে জেমসকে মা/দকাসক্ত আখ্যা দিয়ে নিজেকে সাধু সন্ন্যাসী প্রচার করেছে। পান্থ কানাইকেও সে কোকেনে আসক্ত বলেছে। এর মানে হচ্ছে সে ছাড়া সবাই গাঞ্জাসেবী। একমাত্র সে-ই ম/দ গাঁ/জা কোকেন হেরোইন থেকে ১০০ হাত তফাৎ থেকেছে। অথচ সবাই জানে আসিফ বব্বর সেইরকমই লেভেলের গ/ঞ্জিকাসেবী। গাঞ্জায় দম নিয়ে সে ফিমেল আর্টিস্টদের সম্পর্কে অশ্লীল শব্দোচ্চারণ করে।

রাখঢাকের বিষয় নয়, যেদিন জানলাম আসিফ বব্বর আমার প্রিয় গায়ক জেমসকে এলসিডি ও প্যাথেড্রিন আসক্ত বলেছিল সেদিন অনেক কণ্ঠতারকা দূর থেকে মুখ টিপে হেসেছে। মানলাম রকস্টার মাদকাসক্ত। এই ভবঘুরে ইভটিজারকে কুমিল্লার মানুষ “পু/ইট্টাখোর” ডাকার পাশাপাশি হি/রোইঞ্চি ও গাঁ/জাঞ্চি বব্বর ডাকতো। নিজের বায়োগ্রাফিতেও প্রবঞ্চনার আশ্রয় নিয়েছে সে। বিতর্কিত হওয়ার জন্যই সে ইচ্ছাকৃতভাবে খ্যাতিমান গায়কদের নাম টেনে এনেছে। নিজেকে ভিকটিম সাজিয়েছে। তার ৩৭২ পৃষ্ঠার বায়োগ্রাফিতে প্রতিক্ষেত্রে নিজেকে ইনোসেন্ট বলেছে সে। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী আসিফ বব্বর তার বাবাকে হাস্যকরভাবে “আন্ডারকভার মুক্তিযোদ্ধা” ঘোষণা করেছে।

আইয়ূব বাচ্চু এদেশের বনেদী সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। আমার কাছে তিনি ছিলেন মেলোডি কিং। শুধু আমার কাছে নয়, লক্ষ লক্ষ শ্রোতার কাছে আইয়ুব বাচ্চু মেলোডি কিং। আসলে চেনা বামুনের পৈতা লাগেনা। জেমসের ক্ষেত্রেও তাই। আইয়ুব বাচ্চু এবং জেমসের হাই কোয়ালিটির গায়কী, হাই রিচ এক্সপেক্টেশনের কাছে ইভটিজার গায়ক আসিফ বব্বরকে যতবার টেনে আনা হবে, ততবারই সে তুলোধুনো হবে। আইয়ুব বাচ্চু ও জেমসের সামনাসামনি দাঁড়ানোর ছিঁটেফোঁটা যোগ্যতা ওই ইভটিজার গায়কের নেই। জেমস যে রকম স্টেজে কনসার্ট করেন আসিফ বব্বর সে রকম স্টেজে আজতক উঠতে পারেনি। জেমস ভীষণ ব্লেসড একজন শিল্পী। কনসার্টে (যেমন, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) জেমসের অডিয়েন্সই তার সবগান গাইতে থাকে। সে রকম মহল ইভটিজার গায়ক কয়টা পেয়েছে তার খোঁজখবর নেয়া দরকার।

About Babu

Check Also

আগামীকাল ক্যান্টনম্যান্টে হামলার পরিকল্পনা করেছে আঃলীগ, মিটিংয়ের ভিডিও আসছে: ইলিয়াস হোসেন

ড. বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল শীঘ্রই মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে খুব …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *