আজ বুধবার ৩১ আগস্ট আসিফ নজরুল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভেরিফাইড পেজে একটি পোষ্ট করেন। তিনি তার পোষের জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে। তিনি মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুকে নিথর করার পিছনে ছিলো তিনি দেশের কাউকে হয়রানি করেনি ইত্যাদি খুঁটিনাটি সকল বিষয় নিয়ে মেজর জিয়া সম্পর্কে বর্ণনা দেন। তার এই পোষ্টটি করার মাত্র ৩০ মিনি না পেরতেই তুমুল আকারে ভাইরাল হয় এবং মন্তব্য লিস্টে বিতর্কের ঝড় উঠে। তারই এই পোষ্টে মন্তব্যে এক পাঠক তার সম্পর্কে লেখেন, আসিফ নজরুল সাহেব, আপনি বিএনপির এত বড় চাটুকার তা আমরা জানতাম না । আমি আপনাকে একজন ভাল এবং সৎ মানুষ হিসাবে জানতাম। রহমানকে নিয়ে আপনি যা গাইছেন তা সঠিক নয়। তিনি যদি একজন ভালো মানুষ হতেন, তাহলে তিনি কখনোই সামরিক আইন জারি করতেন না এবং নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করতেন না। জিয়াউর রহমান নিঃসন্দেহে একজন অসাধু সামরিক অফিসার যিনি বঙ্গবন্ধুর হাতে একজন প্রশিক্ষিত সৈনিক ছিলেন। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেননি, তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে হ/ ত্যা করেছেন।
মেজর জিয়া সম্পর্কে আসিফ নজরুল তার যোগাযোগ মাধ্যমে যা লিখেছিলেন তা নিচে দেওয়া হলো:-
জিয়াউর রহমান কাউকে হারাননি। সামরিক ট্রাইব্যুনাল সামরিক ক্যুর শাস্তি হিসেবে অভিযুক্তকে কোর্ট মার্শাল করে সাজা দেয়। এবং বিদ্রোহ এবং অবাধ্যতা সামরিক আইনে মৃ/ ত্যুদন্ডযোগ্য।
জিয়াউর রহমান নিজে সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে তার শাসনামলে অভ্যুত্থানগুলো কোনো পুতুল খেলা ছিল না। সেনাবাহিনীকে শৃঙ্খলিত করার জন্য সামরিক সারির শাস্তি হিসেবে অনেক ক্ষেত্রেই এই মৃ/ ত্যুদণ্ড কার্যকর করা প্রয়োজন ছিল।
গবেষকরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন, জিয়া আমলের ট্রাইব্যুনাল কোনো শাস্তির ক্ষেত্রেই সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি। আমি নিশ্চিত অভিযুক্তদের অনেকেই সুষ্ঠু বিচার পায়নি। কর্নেল তাহেরও আমার মতে সুষ্ঠু বিচার পাননি।
কিন্তু, আমি যে বিষয়টি তুলে ধরতে চাই তা হলো, বাংলাদেশ আজ পাকিস্তান বা মায়ানমারের মতো সামরিক শাসনের অধীনে না থাকার একটি কারণ হলো জিয়াউর রহমান তার শাসনামলের পাঁচ বছরে গাজর ও লাঠি দিয়ে অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী সেনাবাহিনীকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্ম। এই মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের অনেকেই মনে করতেন যে তারা দেশ স্বাধীন করেছেন, তাই তাদের দেশ শাসন করার স্বাভাবিক অধিকার রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের সিইও মনে করতেন দেশের রাষ্ট্রপতিকে হ/ ত্যা করে নিজেরাই দেশের রোগী হওয়ার অধিকার তাদের আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হ/ ত্যা তাদের চিন্তাধারার একটি উদাহরণ এবং মুজিবভাত্যের মৃ/ ত্যুর পরে তাদের চিন্তাভাবনা একেবারেই বিলুপ্ত হয়নি বরং রাষ্ট্রপতিকে হ/ ত্যা করে দেশ শাসন করার অধিকার তাদের রয়েছে তা আরও প্রমাণিত হয়েছিল। শুধু ইউনিটের সিইও নয়, সাধারণ সৈনিক ও ওয়ারেন্ট অফিসারদেরও এই ধারণা ছিল।
জিয়াউর রহমানের আমলে দেশে ২৬টি অভ্যুত্থান হয়। এই সারি এবং তাদের দমনে শত শত সৈন্য, জনতা অফিসার মারা যায়। এই সংকেত কোন পুতুল খেলা ছিল না। প্রতিটি নেতার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল রাষ্ট্রপতিকে হ/ ত্যা করে নিজেই রাষ্ট্রপতি হওয়া। QUs এর শাস্তি সব সময়ে ন্যায়সঙ্গত ছিল না, জিয়াউর রহমান নি/র্মমভাবে QUs দমন করেছিলেন।
বাংলাদেশী সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী ইউনিটগুলিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য জিয়ার যে চারটি পন্থা ছিল:-
- বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, সুযোগ-সুবিধা এবং অনুপ্রেরণার মাধ্যমে পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে সামরিক বাহিনীতে চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনা।
- পুলিশ, আনসার ও বিডিআর সহ বিভিন্ন বাহিনীকে শক্তিশালী করা।
- শক্তিশালী হাত দিয়ে সংকেত দমন করা। জিয়া বেশ কয়েকটি ইউনিটও ভেঙে দেন।
- ক্ষমতায় অংশগ্রহণের জন্য সাধারণ মানুষকে ক্ষমতায়ন করা।
সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অধিকাংশই এই প্রক্রিয়ায় খুশি ছিলেন না। তারা দেখতে পেল যে সামরিক বাহিনী তার ক্ষমতা হারাচ্ছে।
জিয়ার মৃ/ ত্যুর কয়েকদিন আগে জেনারেল মঞ্জুর সেনা সদর দফতরে এক বৈঠকে জিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে জিয়া রাজনীতিতে অতিরিক্ত জনগণের অংশগ্রহণের অনুমতি দিচ্ছেন। সেই বৈঠকে মঞ্জুরের কিছু সুনির্দিষ্ট কথা ছিল, যা এই মুহূর্তে মনে নেই। (যদি কেউ সূত্রটি পান, দয়া করে মন্তব্য করুন)
তখন অন্য সব অফিসার চুপ করে রইলেন, যার ফলে জেনারেল মঞ্জুর অনুমান করলেন যে অন্যান্য অফিসাররাও তার সাথে একমত। এটি ছিল জিয়া হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ।
কিন্তু জেনারেল মঞ্জুর বুঝতে পারছেন না যে জিয়া এমনভাবে জনগণের ক্ষমতায়ন করছেন, সামরিক বাহিনীর আর সেই ক্ষমতা নেই যে প্রেসিডেন্টকে হত্যাকারী প্রেসিডেন্ট হবে।
এ কারণে জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে/অথবা গ্রেফতারের পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে অথবা তিনি নিজেই আত্মসমর্পণ করেছেন।
বাংলাদেশের অভিজাত বুদ্ধিজীবীরা কখনই জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এবং/অথবা গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের তাৎপর্য বোঝেননি বা বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর হাত থেকে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ার প্রক্রিয়ায় আত্মসমর্পণ করেছেন। অর্থাৎ পুলিশ মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে, বে-সামরিক সংস্থার প্রতিষ্ঠান বিল্ডিং করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হ/ ত্যার পর পুলিশের কি অবস্থা ছিল?
এসব পরিবর্তন বাংলাদেশকে ডিমিলিটারাইজড করেছে, পাকিস্তান ও বার্মার মতো বাংলাদেশি সেনাবাহিনী আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
জিয়ার মৃ/ ত্যুর পরও জেনারেল এরশাদ সেনাবাহিনীর ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে সাত্তারের সঙ্গে আলোচনায় নামেন। সাত্তার রাজি না হওয়ায় এরশাদ অভ্যুত্থান করে ক্ষমতা দখল করেন।
কিন্তু, এরশাদ যেটা বোঝেন না সেটা হলো জিয়াউর রহমান জনগণকে এমনভাবে ক্ষমতায়ন করেছেন যে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের কোনো বৈধতা নেই।
এ কারণে এরশাদের ইঙ্গিত দেওয়ার সময় তার কোনো বৈধতা ছিল না। কারণ জিয়া বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জনশক্তি ও সামাজিক শক্তি গড়ে তুলছেন।
ফলে এরশাদ টিকতে পারেননি, ক্ষমতা গ্রহণের পরই এরশাদকে গণআন্দোলনের মুখে পড়তে হয়।
এই পুরো প্রক্রিয়া জিয়া সত্তরের দশকে সম্পন্ন করেন, যা মিয়ানমার ও পাকিস্তান এখনো সম্পন্ন করতে পারেনি।
আমরা জিয়াকে বিচার করতে পারি যে, জিয়া নি/ র্মমভাবে এই সংকেতগুলিকে চাপা দিয়েছিল। এবং আমি নিশ্চিত যে আপনি প্রক্রিয়াটিতে অনেক স্বজ্ঞাত নাম পাবেন।
কিন্তু জিয়ার এই কঠোরতার সুযোগ পায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র। তা না হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি পাকিস্তান বা মায়ানমার মডেল রাষ্ট্র হয়ে যেত ইরমুল ইস্যু হচ্ছে, একটা নবগঠিত রাষ্ট্রের ইন্সটিটুশাল বিল্ডিং একটা লিনিয়ার প্রসেসে আগায়। যার মধ্য দিয়ে থাকে সেই সময়ে যে সেরাজ হতে পারে। এই সময় বলতে বলে। পুরোটাইলের পরে আসে বেসিক, যে সময়ে ইন্সটিউশন বিল্ডিং হয়েছে, কিছু ডেমোক্র্যাটাইজেশান হয়েছে কিন্তু তবুও এলিটদের ইচ্ছা শক্তি নিয়ন্ত্রিত হয়। প্যানে স্টেট ম্যাচ ম্যাচিউর হয়, ইন্সটিউশানগুলো আরো শক্ত হয়-ডেমোক্রেটিক প্রসেসে ইলেকশানের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল হয়। এই ম্যাচ বলে ম্যাচুর।
একটি স্টেট ফ্লোরাইল থেকে বেসিক , বেসিক থেকে ম্যাচুর এবং ম্যাচুর থেকে ওপেন এক্সসেস কালো হয়। এই প্রোগাটা লিনিয়ার। কোন রাষ্ট্র এই স্টেপগুলো ধরে ধরে ধরে, কোন রাষ্ট্র পেছায়।
ডগলাস নর্থ তার মুল গবেষণায় রাজনীতি উদাহরন ব্রাহ্মণ এবং প্রফেসর মুক খান রাজনীতি লিমিটেড এক্সেস ক্লাব ফ্রেম ওয়ার্ক নিয়ে অরেস্তাভ গবেষণা করেছেন যে গবেষণার একটি পাতা আমি এটাচ করছি।
প্রফেসর মুক খান বলেছেন, ১৯৭৫ সাল থেকে জিয়ারস্তা আমেলে বাংলাদেশ পুরোটাই থেকে এবং ম্যাচুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রসার মুসার খানের পরীক্ষা বিশ্লেষণে শেখাস্তাক ২০০৯ এ যখন ক্ষমতা করে তখন বাংলাদেশ ইন্সটিশান বিল্ডিং প্রসেসে ম্যাচুরি পাসেছে কিন্তু তার ফ্রেজি লিটার লক্ষন সে যে কোন পেছাতে পারে।
সো ২০১৪ এর পর শেখর রূপটি আমলে যখন এলএও ফ্রেমওয়াকে মোটামুটি ইন্সটিশন দা গাছে ইলেকটোরাল প্রসেস স্থাপিত হয়েছে এই , গুনের খুনের মাধ্যমে স্টেটকে ফারাইল গঠিত বর্ণ নেওয়ার গুন খুন আর তার ৩০ বছর পূর্বের নন রাষ্ট্রায়রাজ খুন। সময় কালের সক্ষমতার যে খুনাখুনি তার বিপরীত রয়েছে।
ফলে এলএওমে ওয়ার্কে বেসিক আর ফ্লোরাইল দোলা ৭৫ পরবর্তী জিয়ার আমলের রক্তক্ষয়ী ক্যুর প্রতিবাদ হিসাবে বন্ধুর সদস্য নিহত দণ্ডের সাথে চল্লিশ বছরের পথ পরিক্রমায় ম্যাচিউর হয়ে পাকিস্তান মিলনের ক্ষমতা ধরে রাখতে সমর সমরের গুম খুন।
এই দুইটি বিকল্পকে তুলে ফেলা-ইমেচিউর টু সে দালিস্ট।
আমি এই পোস্টের কোন বিষয়ে দিবো না, কোন ডিবেট পারটিসিপেট না। এক জন বন্ধুকে আলোচনা করা, তার হনেরে এইটালিপিলাম। কিন্তু আমি কোন ডিবেটে চাপবো না। আমি অন্য একটা ব্যস্ততা, কালকের থেকে আবার বন্ধ থাকবে।
ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ দাবি করে বঙ্গবন্ধুকে নিথর করার পিছনে মেজর জিয়ার সরাসরি হাত আছে। অন্যদিকে আইএসআইকে বাংলাদেশে প্রবেশের পিছনেও মেজর জিয়ার গভীর ষড়যন্ত্র ছিলো। তবে বিএনপি বিভিন্ন যুক্তির সাথে সেটা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। এই নিয়ে অনেক রজনৈতীক নেতাদের মধ্যে মিশ্র পতিক্রিয়া রয়েছে।