কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল । ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ছাত্ররা আস্থা রেখেছেন ড. আসিফের প্রতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, ২০২০ সালে আসিফ নজরুলের দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্ট সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সে কথা স্মরণ করলেন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের মেহের আফরোজ শাওন। পোস্টটি শেয়ার করে অভিনেত্রী-প্রযোজক লিখেছেন, ‘এখন নিশ্চয়ই হবে। আশায় আছি…।’
২০২০ সালে আসিফ নজরুলের ফেসবুক পোস্টে এমন ছিল, যদি ক্ষমতা থাকত আইন করতাম; বর্তমান বা সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীগণ চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে পারবেন না। ক্ষমতা, চাকুরি বা ব্যবসা কোনোভাবেই তাদের সন্তানরা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারবেন না। সপ্তাহে অন্তত একদিন তাদের গণপরিবহনে চড়তে হবে। রাস্তায় চলাকালে তারা অন্য একটি যানবাহনও থামিয়ে রাখতে পারবেন না। বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে তারা অতি-জরুরি ছাড়া কোনো সফরসঙ্গী নিতে পারবেন না, এ বিষয়ে সংসদকে জানাতে হবে।
পোস্টে তিনি আরও লিখেছিলেন, জনগণের টাকায় কোনো কিছু উদ্বোধন বা জনগণকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের নাম ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে। তাদেরকে মহামান্য ও মাননীয় বলা নিষিদ্ধ হবে। তাদের ও তাদের পরিবারের দেশে-বিদেশে সকল সম্পত্তি ও আয়ের বিবরণ জনগণকে জানাতে হবে। দুদকের একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ইউনিট শুধুমাত্র তাদের বিষয়ে নজর রাখবে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও আরও বহু কিছু করতাম। যারা লুটেরা, চোর আর সন্ত্রাসী—তাদের জীবন নরক বানিয়ে ছাড়তাম।
প্রসঙ্গত, আসিফ নজরুল ও শাওনের আরেকটি পরিচয় আছে। সম্পর্কে শাওনের মেয়ে জামাই হচ্ছেন আসিফ। স্বামী হুমায়ূন আহমেদের প্রথম সংসারের তৃতীয় মেয়ে শিলা আহমেদের বর ড. আফিস নজরুল।