দুর্নীতি ও অনিয়মের জেরে অনেক সময় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হয় পুলিশ দ্বারা। বাদী পক্ষের লোকজন টাকা খাইয়ে বিবাদীকে আটক করায়। তবে আটক করতে হলে লাগে গ্রেফতারি পরোয়ানা। যেহেতু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পুলিশের কাছে ছিলনা সেতু ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে আটক করে এক যুবককে। এরপরই বেধে যায় লঙ্কাকাণ্ড উল্টে পুলিশের প্রায় ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনকে কারাগারে রাখার জন্য ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে আওলাদ হোসেন ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বশির জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সোমবার (১ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও আকতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বিচারপতি মো. একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিটের মামলাটিও নিষ্পত্তি হবে না বলেও আদালতকে জানানো হয়। ফলে প্রথমবারের মতো কোনো আসামি কোনো অপরাধ না করেই কারাদণ্ডের ক্ষতিপূরণ পেলেন।
দেশে এমন অনেক লোক রয়েছে যারা কোনো দোষ না করেও বছরের পর বছর সাজা ভোগ করে আসছে। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করার কারণে তাদের সাথে ঘটে যাচ্ছে অন্যায়। এমনই ঘটনা ঘটে মো. আওলাদ হোসেনের সাথে। তবে এবার সে নিরাপরাধ প্রমাণে পুলিশকে জরিমানা দিতে হবে ৫০ লাখ।