বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন যেন কড়া নাড়ছে। আগামী ২০২৪ সালেই দেশে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন।এ দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো দলের হয়ে কাজ না করতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘জনগণের অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগে সহায়তা করতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। আপনি নিরপেক্ষতা থেকে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে আপনার দায়িত্ব পালন করবেন।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের ৬১ জেলার ডিসি ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের ব্যাপারে আপনাদের কঠোরভাবে দায়িত্বশীল হতে হবে। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন সংক্রান্ত আপনার কাজ ও আচরণে এমন কোনো কিছুর প্রতিফলন ঘটানো উচিত নয় যা মানুষকে ভাবতে বাধ্য করবে যে আপনি কোনো দলের হয়ে কাজ করছেন।’
তিনি ডিসি-এসপিদের সংবিধান, আইন ও বিধির আলোকে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা। জনগণের অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগে সমর্থন দিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। আপনি নিরপেক্ষ হবেন এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে আপনার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের কাজের কাঙ্ক্ষিত মান ও আদর্শকে সমুন্নত রাখবেন।
দায়িত্ব পালনে ন্যূনতম শিথিলতা দেখানো যাবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অর্পিত দায়িত্ব ও ক্ষমতা পালনে কঠোর হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে সিইসি বলেন, ইভিএম প্রশ্ন নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। আমরা শুধু বিশ্বাস করি না, আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনী সহিংসতা এবং কারচুপি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। আমরা ১৫০ আসনের নিচে প্রাপ্যতা সাপেক্ষে ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে প্রয়োজনে সব আসনে বা দেড় শতাধিক আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি ও সক্ষমতা আমাদের থাকবে। সে লক্ষ্যে নির্বাহী ও পুলিশ প্রশাসনেরও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই দিনে ৪২ হাজার থেকে ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে সম্পন্ন করতে হবে। কাজটি সহজ নয় কিন্তু অসম্ভব নয় এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।’
প্রসঙ্গত,এ দিকে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এখনই শুরু হয়ে গেছে বেশ দৌড় ঝাঁপ। সরকার থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন সকলেই এখন পাড় করছে ব্যস্ত সময়। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য হয়ে উঠেছে বেশ মরিয়া।