বড় আশা নিয়ে হাইকোর্টে এসেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও ছোট মেয়ে সাফারু মির্জা সুমি। তাদের আশা ছিল, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আজ হাইকোর্ট থেকে জামিন পাবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু এ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিনের রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আদালতে এ রায় শোনার পর ফখরুলের স্ত্রী ও মেয়ের মন খারাপ হয়ে যায়। আদালতের রায়ের পর ফখরুলের স্ত্রী ও মেয়েকে অ্যানেক্স ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের ছবি তুলতে গেলে ফখরুলের স্ত্রী বলেন, আমাদের ছবি তুলবেন না। তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিএনপি নেতা ফরহাদ আজাদ বলেন, জামিন হয়নি। উনাদের, আমাদের মন ভালো নেই। আপনি এভাবে ছবি তুলবেন না। এরপর মির্জা ফখরুলের স্ত্রী ও মেয়ে গাড়িতে উঠে ঢাকার জজ কোটের দিকে রওনা হন। আরেকটি মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি চলছে।
এর আগে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের আদেশ খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল খারিজ করেন।
আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। মির্জা ফখরুলের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বারির অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিয়ন, অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিএম রাফালে।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়।