পদ্মা সেতু তৈরী নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয় দেশে ও দেশের বাহিরে। তবে বাধাকে পিছনে ফেলে প্রধানমন্ত্রীর সাহসি উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা আজ বাস্তবে রুপ নিয়েছে। ব্যবসা-বানিজ্যের দ্বার খুলবে দক্ষিন অঞ্চলের মানুষের। পদ্মা সেতুর তৈরী মাধ্যমে দেশের এক নতুন অধ্যায় শুরু হল দেশের। সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সেতুমন্ত্রীর কাছে যে আবদার করলেন উপস্থিত জনতা।
ওবায়দুল ভাইরে কন, এক ঘণ্টার জন্য ব্রিজ খুইলা দিতে। আমরা বৃষ্টিতে ভিইজা ঢাকা থেকে আইছি। হাঁইটা সেতু পার হইতে চাই।
‘
উদ্বোধনের পর স্বপ্নের পদ্মা সেতু পার হতে ঢাকা থেকে জাজিরা আসেন রায়হান। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজা দিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন। বহু প্রতীক্ষার পর একটু পরেই পা রাখবেন সেতুতে। কিন্তু তার আগেই পুলিশ এসে বাধা দেয়। জানতে পারলেন আর এগোনো যাবে না।
সেতুর এত কাছাকাছি এসে কোনোমতেই ফিরে যেতে চান না তিনি। তিনি পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন তাকে স্বপ্নের সেতু পার হতে দিতে। কাজ না হওয়ায় তিনি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।
দেশের একটি অন্যতম গনমাধ্য প্রতিবেদককে দেখে রায়হান বলেন, আমাদের একটা আশা, পায়ে হাঁইটা ব্রিজে চলাচল করব। আমাদের এক ঘণ্টার জন্য খুলে দিলে আমরা খুশি হইতাম। ‘
আরেকজন পথচারী বললেন, “প্রয়োজন হলে আমরা এখানে সারারাত থাকব, এবং সকালে আমরা সেতুটি দিয়ে ঢাকা যাব।”
জাজিরা টোল প্লাজা সংলগ্ন নওডোবার তরুণ সরওয়ার।প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় গিয়েছিলেন। এখন টোল প্লাজার কাছে বসে আছেন। তার আশা পায়ে হেঁটেই সেতু পার হবে।
সারোয়ার বলেন, আমি সমাবেশে এসেছি, সেতুতে উঠে নদী পার হওয়ার আশায় ছিলাম। আজ ব্রিজে না হাঁটলে আর কোনো সুযোগ পাব না। ‘
পুলিশ ও সেনাবাহিনী কয়েক দফা সরিয়ে দিলেও সারোয়ার এলাকা ছাড়ছেন না, আশা যদি সেতুতে হাঁটার অনুমতি মেলে।
এদিকে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান জানান, রোববার ভোরের আগে কাউকে সেতুতে উঠতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, গতকাল থেকে অনেক মানুষ সেতুতে আসছেন। আজ উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু আমরা কাউকে সেতুতে উঠতে দিচ্ছি না। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। আগামীকাল সকালে সেতুটি খুলে দেওয়া হবে। তার আগে কেউ যেতে পারবে না। ‘
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু হেটে পার হওয়ার জন্য অনেকে চেষ্টা করছে কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামি কাল সেতু খুলে দেওয়া হবে এর আগে কাউকে সেতু উঠতে দেওয়া হবে না্।