ঢাকাই সিনেমা জগতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহনকারী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম মাহিয়া মাহি। প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে বেশকিছু সুপার হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তাই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাকে নিয়ে আলোচনা বিস্তর। এছাড়া রূপ-লাবণ্যের দিক দিয়েও অনেকের থেকে এগিয়ে রয়েছেন গুণী এই অভিনেত্রী।
কিন্তু মাহি নিজে কেমন তিনি? নিজেকে তার কেমন লাগে? মাহি জানান, তিনি যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন নিজেকে দেখে তার মিশ্র ভাবনা আসে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে মনে বলেন, ‘আল্লাহ বাঁচিয়েছে, এখন কেউ দেখছে না!’
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ঘুম থেকে ওঠার পর নিজেকে এতো বিধ্বস্ত লাগে, তখন মনে হয়, এরকম অবস্থায় দেখলে আমাকে কেউ নায়িকা বানাত না।’
অনুষ্ঠানে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়- মাহির মন যখন খারাপ হয়, তিনি কী করেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘যখন আমার মন খারাপ থাকে, তখন আমি হকারদের কাছ থেকে একসঙ্গে অনেক জিনিস কিনে ফেলি। যেমন কেউ ক্যান্ডি ফ্লাওয়ার বিক্রি করছে। ধরলাম তার কাছে দুইশ’ ক্যান্ডি ফ্লাওয়ার আছে, আমি সবগুলো কিনে ফেলি। কেনার পর তাৎক্ষনিক ওই মানুষটার মুখে যেই হাসিটা আসে, ওটা দেখলে আমার মন ভালো হয়ে যায়।’
এর আগে গেল মার্চ মাসে প্রায় ১০০টি বাঁধাকপি কিনে নিজের নতুন গাড়ি ভর্তি করেছিলেন। ওই ঘটনার রেশ টেনে তিনি বলেন, ‘আমি তখন রাজশাহীতে ছিলাম। খুব মন খারাপ ছিল। গাড়ি চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একজন বৃদ্ধ লোক ক্ষেত থেকে অনেকগুলো বাঁধাকপি ওঠাচ্ছে। তখন তাকে জিজ্ঞেস করি, কয়টা আছে। তিনি বলেন- ১০০টি। এরপর আমি শুঁকে দেখলাম যে, কোনো গন্ধ আছে কিনা। দেখি কোনো গন্ধ নেই। এরপর গাড়ির ভেতরে রাখতে বলি সবগুলো।’
তবে ওই ঘটনায় বিপাকে পড়ার কথা জানিয়ে মাহি বলেন, বাঁধাকপিগুলো গাড়ির ভেতরে রাখার ঘণ্টাখানেক পর ওগুলো থেকে গন্ধ আসতে থাকে। সেই সঙ্গে কিছু পোকা বের হয়ে গাড়িতে ছড়িয়ে যায়। নতুন গাড়ির ওই হাল দেখে পরে আরও বেশি মন খারাপ হয় তার।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমনের ফলে দীর্ঘ বিরতির পর সম্প্রতি আবারো কাজে ফিরেছেন মাহিয়া মাহি। বড় পর্দায় তার আগমন ঘটে ২০১২ ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। এতে মাহির বিপরীতে অভিনয় করেন বাপ্পী চৌধুরী। ইতিমধ্যে কয়েকটি সিনেমায় সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মাহি।