Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আলোচিত সেই স্ত্রীর চাকরিতে আপত্তি নয়, হাত কাটার নেপথ্যে ছিল অন্য কিছু, জানালেন স্বামী

আলোচিত সেই স্ত্রীর চাকরিতে আপত্তি নয়, হাত কাটার নেপথ্যে ছিল অন্য কিছু, জানালেন স্বামী

রীতিমত টাকা দিয়ে ভাড়া করা দুস্কতির সহায়তায় ঘুমন্ত স্ত্রীর হাতে কব্জি কেটে ফেলেন রেনুর স্বামী। ভুক্তভোগীর স্বামীর আশঙ্কা, হাসপাতালে নার্সের চাকরি পাওয়া পর স্ত্রী হয়তো বদলে যাবে। কিংবা স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলেও যেতে পারে। কিন্তু স্ত্রী রেনু খাতুনের হাত কেটে নেওয়া যুবক এখন সেই বুলি পাল্টে বলছে ভিন্ন কথা, হাত কাটার কারন হিসেবে দীর্ঘদিন স্ত্রী পরকিয়ার সাথে জরিত বলে দাবি করেছেন। তবে কারন যেটাই হোক না কেন স্ত্রীর সাথে এমন কর্মকান্ডের জন্য অনুতপ্ত বোধ করছেন তিনি।

সরকারি চাকরি পাওয়ার অভিযোগে স্ত্রী রেনু খাতুনের হাত কেটে নিয়েছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের যুবক শরিফুল শেখ। এতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এবার এত দিন পর আসামি শরিফুল এসে দাবি করলেন, নার্সের চাকরি পাওয়ার কারণে নয়, ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়ায় স্ত্রীর হাত কেটেছেন। শরিফুল দাবি করেন, বারবার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রেনু বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক করে আসছিলেন। তাই হাত কেটে ফেলা হয়েছে। নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্তও হন। রেনু সম্প্রতি একটি সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পেয়েছেন। অভিযোগ, এর পর গত ৪ জুন সকালে রেনুর স্বামী শরিফুল দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়। তিনজন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে রেনুর কব্জি কেটে ফেলা হয়, আগে রেনুর মাথায় সাড়াশী দিয়ে আঘাত করা হয়। তদন্তের স্বার্থে শনিবার গ্রেফতার চার অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার তদন্ত করছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনার দিন পুলিশের সামনে তারা কী করেছিল তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখানো হয়েছে। আর এখানেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রেনু খাতুনের স্বামী। তিনি বলেন, তার স্ত্রী চাকরি পাওয়ায় তার হাত কাটা হয়নি। সে দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। বারবার নিষেধাজ্ঞায় কাজ হয়নি, তাই তাকে পড়াতে কব্জি কেটে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ায় স্বামী হাতের কব্জি কেটে দিয়েছিলো এমনই একটা খবরে গোটা রাজ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছিলো। নানান সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, স্ত্রীর সরকারি চাকরিতে আপত্তি থাকার ঘটনায় স্ত্রীর হাত কেটে নেওয়ার ঘটনায় স্বামী সহ জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন রেনুর হাত কীভাবে কেটে ফেলা হয়েছিল তা পুলিশের কাছে বিস্তারিত স্বীকারোক্তী দিয়েছে জড়িতরা। বিভিন্ন সূত্র জানায়, এক ভাড়াটিয়া দুর্বৃত্ত ঘুমন্ত রেণুকে হাত দিয়ে চেপে ধরে। আরেক দুর্বৃত্ত তার পা চেপে ধরেছিল। তারপরে প্রথমে রেণুর মাথায় সাড়াশী দিয়ে আঘাত করেন স্বামী, পরে ছুরি দিয়ে রেনুর কব্জি কেটে দেন। এসময়ে রেনুর স্বামীর একজন ঘনিষ্ট আত্মীয় কোজলসা গ্রামের রাস্তার পাশে পাহারা দিচ্ছিলেন এমনটাই পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তী দিয়েছেন ঘটনার বিস্তারিত জানাতে।

 

 

সূত্র: দ্য ওয়াল।

About Syful Islam

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *