দেশে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তর। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. টিটো মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এক শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এক নারী শিক্ষার্থীর কেন্দ্র ছিল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টমতলা)। পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের সন্দেহে একজন পর্যবেক্ষক ওই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পর্যবেক্ষক তার ভুল বুঝতে পারেন এবং নতুন ওএমআর শিট দেন। কিন্তু পরীক্ষার আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও পরিদর্শক তাদের পরীক্ষার সময় বাড়ায়নি। এ সময় অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীর স্বজনদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওই শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী হুমাইরা বলেন, আমার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। সে (পর্যবেক্ষক) আমার খাতা কেড়ে নিয়েছে। আমি বিচার চাই।
এর আগে রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন ছাত্রী হুমাইরা। মন্ত্রী বেরিয়ে আসার সময় পথ অবরোধ করে অভিযোগ জানান। কর্মকর্তারা হুমাইরার পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, ৯ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার সময় ওই পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন পরীক্ষা কেন্দ্রের একজন পর্যবেক্ষক।
অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক কাজী আফজালুর রহমানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এর সদস্য সচিব হলেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের থোরাসিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আলম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. কামাল হোসেন।