ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং ওই স্থানে রামমন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে সপ্তাহজুড়ে। পাকিস্তান ভিত্তিক একটি গোষ্ঠী জইশ-ই-মুহাম্মদ ১৬ জানুয়ারী হামলার একটি স্পষ্ট সতর্কতা জারি করেছে। তারপর থেকে অযোধ্যা সহ সমগ্র উত্তর প্রদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে রামমন্দিরে রাম লালার উদ্বোধন করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । আর সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের পর হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের অধিকাংশ বাসিন্দা আনন্দে ফেটে পড়েন।
তবে বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণে হিন্দু সম্প্রদায় খুশি হলেও স্থানীয় মুসলমানরা বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখছেন। তাদের অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্বের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিয়ে রামমন্দির যাত্রা শুরু করে। তবে অযোধ্যা থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে কর্ণাটকে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এক মহিলা মোটরসাইকেলে চড়ে রামভক্তদের মিছিলে নামেন। সঙ্গে ছিল তার সন্তান। এ সময় তিনি জয় শ্রীরামের স্রোতের বিপরীতে একা একা আল্লাহু-আকবর উচ্চারণ করতে থাকেন। অনেক রামভক্ত হঠাৎ সেই শব্দ শুনে চমকে উঠলেন। এ সময় তারা ওই মহিলার দিকে ছুটে যায়, যে আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করছিল। সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ওই নারী ও তার শিশুকে হামলার হাত থেকে বাঁচিয়ে হেফাজতে নেয়। ঘটনাটি ঘটেছে শিবমোগায় শিবপ্পানায়ক এলাকায়।
কর্ণাটকের পুলিশ জানিয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার সিংহাসন অনুষ্ঠানের সাথে সংহতি জানিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল স্থানীয় হিন্দু সংগঠন। সে সময় শত শত ভক্ত ভগবান রামের নাম জপ করছিলেন। এ সময় একজন মহিলা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আল্লাহ-আকবার (আল্লাহ মহান) বলে চিৎকার করেন। এতে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং রামের ভক্তরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
শিবমোগা পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) জি কে মিঠুন বলেছেন, যে মহিলা আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করেছিলেন তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার বাবাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য এ তথ্য জানান। কয়েক মাস ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।