সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদের অসম বয়সের বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ৬০ বছর বয়সী খন্দকার মুশতাককে বিয়ে করেন ১৮ বছর বয়সী তিশা।
এই বিয়ে এখনো মেনে নেয়নি তিশার পরিবার। শুধু তাই নয়, এই বিয়ে পৌঁছেছে আদালত পর্যন্ত। বিষয়টি এখনো বিচারাধীন।
বাবা সাইফুল ইসলাম বেশ কিছুদিন ধরে তার বড় জামাইয়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে আসছিলেন। এবার মুখ খুললেন তিশার মা।
তিশার মা অভিযোগ করেন, খন্দকার মুশতাক আহমেদ তিশাকে ব্ল্যাকমেইল করেন। তাকে জিম্মি করে কাবিননামায় স্বাক্ষর করেন। যে সাক্ষী দিয়ে তাকে বিয়ে করেছে সে কাজী ছাড়া আর কেউ নয়।
মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে তিশার মা এসব অভিযোগ করেন।
তিশার মা বলেন, তিশা এখন যা বলছে সবই শেখানোর কথা। এখন নিজে বাঁচাতে হাতিয়ার হিসেবে তিশাকে ব্যবহার করছেন মুশতাক। মুশতাক ভালো করেই জানে যে তিশা মুখ খুললেই তার (মুশতাক) খবর আছে। তিশা আমাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে কিন্তু মুশতাক তাকে (তিশা) কোনভাবেই আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না। তিশা খুবই লাজুক এবং সহজ সরল মেয়ে। তাকে যেভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে সেভাবে সে পরিচালিত হচ্ছে।
তিশার মা জানান, কাবিননামায় তিশাকে সই করতে বাধ্য করা হয়। খন্দকার মুশতাকের বিচার ও শাস্তি চাই। মুশতাক আমার মেয়েকে জিম্মি করে কাবিননামায় স্বাক্ষর করতে বলে। কিন্তু আমার মেয়ে স্বাক্ষর করবে না, তারপর বলে যে আমি তোমার ছবির ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব। টিসি নিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেব। আমি গভর্নিং বডির একজন সদস্য; প্রিন্সিপ্যাল আমার খুব কাছের, সেটা তো জানো। বাধ্য হয়ে সই করেন তিশা। এটাকে আমি বিয়ে বলব না।
এর আগে তিশার বাবা সাইফুল ইসলামও একই দাবি করেছিলেন। তিনি বলেন, মোশতাক আমার মেয়েকে কাবিননামায় স্বাক্ষর করতে বলেন। কিন্তু আমার মেয়ে স্বাক্ষর করবে না, তারপর বলে যে আমি আপনার ছবির ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব।
তিশা যখন মাত্র দশম শ্রেণীতে পড়ত তখন খন্দকার মুশতাক কার্যত তাকে টার্গেট করেন। তারপর তিনি তার মেয়ের মাধ্যমে তিশাকে নিয়ন্ত্রণে আনার প্রস্তুতি নেন। সে অনুযায়ী তিনি একের পর এক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। এমন মন্তব্য তিশার বাবা সাইফুল ইসলামের।