অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত যুবলীগ নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। একই সঙ্গে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র ও বন্দুকধারীদের নিয়ে নীতিমালা করতে হবে। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জি কে শামীমকে ৬ মাসের জামিন দেন। পরে চেম্বার বিচারপতি ১৯ ডিসেম্বর শুনানি মুলতবি করেন।
এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম।
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখে গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসায়ও অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে ওই ভবন থেকে নগদ দুই কোটি টাকা, আড়াই কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তখনই শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র্যাব। এদের মধ্যে সবাই অস্ত্র ও মুদ্রা চোরাচালানের মামলার আসামি হলেও শুধু শামীমকে মাদক আইনের মামলার আসামি দেখানো হয়েছে। প্রতিটি মামলায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মামলার এক মাস পর ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক অস্ত্র আইনের মামলায় শামীম ও তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, জিকে শামীমের দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।