মাদারীপুরে গৃহবধূ হ”ত্যা”র ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার বিচারের দাবিতে সড়কে লাশ নিয়ে মানববন্ধন করেছে মাদারীপুরের স্বজন ও বাসিন্দারা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ডাসার উপজেলার পাথুরিয়ারপাড় এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন। এ সময় তনিমা চৌধুরী চৈতী (২২) ‘হ”ত্যা”র সঙ্গে জড়িত আসামি তার স্বামী কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ (২৭)কে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন নিহতের স্বজনরা।
নিহত গৃহবধূর নাম তনিমা চৌধুরী চৈতি ডাসার উপজেলার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের সেলিম চৌধুরীর মেয়ে এবং কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আহমেদ কালকিনির দক্ষিণ রাজদী গ্রামের আবুল ফকিরের ছেলে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, ১১ মাস আগে ছাত্রলীগ নেতা শাহীনের সঙ্গে চৈতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর শাহীন চৈতিকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। চৈতি সম্প্রতি তার বাবার বাড়ি থেকে কয়েক লাখ টাকা এনে শাহীনকে দেয়। এরপরও শাহীন ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুক দাবি করে।
পরে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন চৈতিকে মারধর ও ‘শ্বা’স’রো’ধ করে হ”ত্যা’ এবং ঘ’রের ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠে। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাশ উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনার তিন ঘণ্টা পর চৈতির বাবার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। চৈতিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
এদিকে বুধবার বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালে চৈতির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সেখান থেকে লাশ নিয়ে মানববন্ধন করেন স্বজন ও স্থানীয় লোকজন। পরে তাকে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।