এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের এক বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার বিদেশে পাচারের তদন্তের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রুল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চে আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
গত বছরের ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে এস আলমের অর্থ পাচার সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের এ বিষয়টি গত ৬ আগস্ট আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাইদুল হক সুমন।
এ প্রতিবেদন দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। পরে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থ পাচার রোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে অন্তত এক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। যদিও তিনি বিদেশে অর্থ বিনিয়োগ বা স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমতি নেননি।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পর্যন্ত ১৭টি কোম্পানিকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দিলেও তালিকায় নেই চট্টগ্রামভিত্তিক এই বৃহৎ কোম্পানির নাম।
নথিতে আরও দেখা যায় যে এস আলম গত এক দশকে সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক জায়গা এবং অন্যান্য সম্পদ কিনেছেন এবং সেখানেও বিভিন্নভাবে তার নাম নথি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেকর্ড অনুসারে, ১০ জানুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত, বিদেশী বিনিয়োগের জন্য দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন নেওয়া হয়েছে, কিন্তু এই পরিমাণ ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন এস আলম সিঙ্গাপুরে ২০০৯ সালেল এর পরে মাত্র দুটি হোটেল এবং একটি হোটেলের জন্য কেনার দশমাংশ মাত্র। .
বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিতে আরও দেখা যায়, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানি আইনি মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে ১ লাখ ৭ হাজার ডলার পাঠিয়েছে, যার মধ্যে একটি কোম্পানিও এস আলমের মালিকানাধীন নয়।