সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি না করলে তা আমদানির পরামর্শ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, এ সংকট নিরসনে আমরা কৃষি বিভাগ ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। না হলে আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করব। পাইকারি পর্যায়ে ২৭ টাকায় আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে তিনি ফ্রিজার ও আলু ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, গত দেড় মাস ধরে আলুর বাজার অস্থিতিশীল। আমরা জানি, আপনারা সকলেই জানেন যে, বাজারের ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলগুলি বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। সেই বিশৃঙ্খলা দূর করতে আজকে আমরা এখানে এসেছি। কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে আলুর পাইকারি মূল্য ২৭ টাকা কেজি বিক্রি হলেই বাজারে ৩৫-৩৬ টাকা করে বিক্রি হবে। এর মধ্যে অন্য কোথাও সমস্যা হলে, আমরা সে বিষয়েও হস্তক্ষেপ করব।
আজ সকালে বগুড়ার আলু বাজার পরিদর্শন করেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. এ সময় তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলায় আরএন্ডআর পটেটো স্টোরেজ নামে একটি হিমাগার পরিদর্শন করেন।