শারদীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করতে গিয়ে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুমনা আক্তার লিলিকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে বদরগঞ্জ উপজেলার গোপেশ্বর শাহ বারোয়ারী পূজা মণ্ডপে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুমনা শনিবার রাতে জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসির সঙ্গে উপজেলার কেন্দ্রীয় বারোয়ারী পূজামন্ডপ রংপুর পরিদর্শন করেন লিলি। পরে তিনি তাদের নিয়ে গোপেশ্বর শাহ বারোয়ারী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান।
এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়র উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাফিউল ইবনে সরকার মিম ও ছাত্রলীগ নেতা রুবেলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সুমনা আক্তার লিলিকে ভুয়া প্রার্থী বলে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। লিলি ও তার সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগ নেতারা আওয়ামী লীগ নেত্রী লিলির ওপর হামলা করতে তেড়ে আসে এবং তাকে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করে। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে।
এদিকে হেনস্তার একটি ভিডিও নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন আওয়ামী লীগ নেত্রী সুমনা আক্তার লিলি। এতে তিনি নিজের নিরাপত্তার কথাও উল্লেখ করেন।
বদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাফিউল ইবনে সরকার মিম বলেন, কে এই স্লোগান দিয়েছে আমি জানি না। আমার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ঘটনার সময় আমি মণ্ডপের বাইরে ছিলাম।
আওয়ামী লীগ নেত্রী সুমনা আক্তার লিলি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করে আসছি। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিমের নেতৃত্বে আমাকে হয়রানি করা হয়। আমি বিচার চাই।
বদরগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।