পিরোজপুরে দুই সংসদ সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা লালন ফকির (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সে পিরোজপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের শরিকতলা ডুমুরিতলা এলাকার হান্নান ফকিরের ছেলে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সেক্রেটারি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল স্বাক্ষরিত কমিটির তথ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্যমতে, গত শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পিরোজপুর সদর উপজেলার রানীপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিমের একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের কর্মীরা। এ ঘটনার জের ধরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আউয়ালের কর্মী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা লালন ফকিরকে ‘কু”পি’য়ে আ’হত’ করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার মৃত্যুতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার সমর্থকরা। এ ঘটনায় আজ (মঙ্গলবার) নগরীতে হরতাল ডেকেছে তারা।
থানা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, নিহত লালন ফকির ২০১৪ সালে বিএনপির হরতাল কর্মসূচিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একাধিক মামলার আসামি ছিলেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। আসলে মামলা নেওয়া হবে।