নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক ভবন দখল করে আধাপাকা টিনশেড ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের ঝিংগাবাড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি রাতারাতি এ বাড়িটি নির্মাণ করেন।
এদিকে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে রফিকুল ইসলামকে নোটিশ দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দখলদার রফিকুল ইসলাম ও তার শ্যালক উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চৌগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী আবু বক্কর সিদ্দিক উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি দেয়।
গত সোমবার হাসপাতালের জায়গায় নির্মিত টিনশেড বাড়িটি অপসারণ ও জমির দখল ছেড়ে দিতে এ নোটিশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ.এস.এম আলমাস। নোটিশে দখল ছাড়তে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা, চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক ভবনের পশ্চিম পাশে পুরাতন আবাসিক ভবনের তালা ভেঙে দখল করে বসবাস শুরু করেন রফিকুল ইসলাম। এখন আবার ভবনসংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় নতুন করে টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন। তাঁকে একাধিকবার মৌখিকভাবে জায়গার দখল ছেড়ে দিতে বলা হয়। তিনি দখল না ছেড়ে উল্টো হুমকিধমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্রয় বা পৈতৃক সূত্রে এই জমির মালিক নই। আমি অনেক দিন ধরে এই জায়গায় বাস করছি। এই জায়গাটা আমাদের দখলে। যার স্থান দখল তার। তাই এখান থেকে কেউ আমাদের সরাতে পারবে না।
তবে আওয়ামী লীগ নেতা আবু বকর সিদ্দিক হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
চৌগ্রাম উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, সরকারি চত্বর রাতারাতি খালি করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। এরপর থেকে দখলদার ও তার আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু বকর সিদ্দিক আমাকে এখানে কাজ করতে না দেয়ার হুমকি দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমাস জানান, অভিযোগ পেয়ে দখলদারকে জায়গা খালি করতে বলা হয়েছে। সে শোনেনি। তাই সাত দিনের মধ্যে ভবন ও সরকারি জায়গা খালি করার নোটিশ জারি করা হয়েছে। নোটিশ পেয়ে তারা মেডিকেল অফিসার সাইফুল ইসলামকে ফোনে হুমকি দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। যারাই সরকারি জায়গা দখল করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।