বাংলাদেশ পুলিশ হচ্ছে জনগণের একান্ত বন্ধু এমন প্রতিপদ্য তারা সবসময় বলে থাকে তবে পুলিশের মধ্যে কিছু অসাধু এবং বিতর্কিত সদস্য রয়েছে যাদের কারণে গোটা পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে প্রতিনিয়ত তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ এবং বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের অসাধু কর্মকর্তারা বিদ্যমান রয়েছে যারা সাধারণ মানুষকে ফাঁসিয়ে তাদের থেকে অর্থ আদায় করতে ব্যস্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার বিতর্কিত এএসআই মো. নুরুল হাকিম বৃহস্পতিবার তার পক্ষে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাদের দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয় নিয়ে ফেসবুকজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
অবশেষে নুরুল হাকিমকে ক্লোজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ক্লোজ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীকে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়, মা’দ’ক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা, উচ্ছৃ’ঙ্খ’ল আচরণসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তার প্রত্যাহারের সংবাদে জিনোদপুর ইউনিয়নবাসী ভীষণ খুশি।
নিজেকে রক্ষা করতে নুরুল হাকিম জিনোদপুর আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাদের দিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করিয়েছিলেন। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি।
এএসআই নুরুল হাকিমের অপকর্ম নিয়ে গত ১১ জুলাই দৈনিক যুগান্তরে ‘পকেটে গাঁ’জা ঢুকিয়ে মামলা, টাকা দিলে ছাড়!’ গত ১৫ জুলাই ‘বিতর্কিত এএসআইয়ের পক্ষে দাঁড়ালেন আ’লীগ নেতারা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে জিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, নুরুল হাকিম ক্লোজের খবরে আমাদের এলাকার মানুষ ভীষণ খুশি। তার জন্য পুলিশ বিভাগের সমালোচনা হচ্ছিল।
এ বিষয়ে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এসপির নির্দেশে এএসআই নুরুল হাকিমকে ক্লোজ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি আদায় করতে গিয়ে এবং সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কর্মকান্ড করছে উৎশৃংখল আচরণ এবং সাধারণ মানুষকে ভয় ভীতি দেখানো শহর নিরপরাধ মানুষকে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে ফাঁসিয়ে তাদের থেকে অর্থ আদায় করাই এদের কাজ