বাংলাদেশের রাজনিতীর ইতিহাসের সব থেকে বড় এবং প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির নাম হলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। আর এই আওয়ামীলীগেকে নিয়েই এখন হয়ে থাকে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। বিশেষ করে নিজ দলের মানুষেরাই আওয়ামীলীগকে নিয়ে করে থাকেন নানা ধরনের সমালোচনা। আর এই সমস্যার মুলে রয়েছে দলটির মধ্যে প্রবেশকরী সব হাইব্রিড নেতারা। যারা সুসময়ে দলে প্রবেশ করে দলের ভাবমুর্তি করছে ক্ষুন্ন।
আর এরই জের ধরে এবার তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁ বলেন, ‘আওয়ামী লীগে অনেক ‘কাউয়া’ ঢুকে গেছে। তাদের চিহ্নিত করে তাদের রক্ত পরীক্ষা করার পর দলে নিতে হবে।’
শনিবার সকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পাকিস্তানের হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে একটি র্যালী শেষে আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছেন, একইভাবে আবারো এই দেশ থেকে আওয়ামী লীগ বিরোধীদের দেশের উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিহত করতে হবে। তাদেরকে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না।
এদিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটি বিষয় এখন স্পষ্ট যে, দলে অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বরং নিজেদের আখের গোছাতে দলে যোগ দিয়েছে। তাই এ বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার বলে মনে করছেন অনেকেই।