বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সংগীতশিল্পী এসডি রুবেল। মনোনয়ন সংগ্রহের পর বিভিন্ন কারণে আলোচনায় আসেন তিনি। জানা গেছে, জনপ্রিয় এই গায়ক একসময় বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সমাজে (জাসাস) রাজনীতি করতেন। এসডি রুবেল বলেন, গুপ্তচর নিয়ে বিতর্ক ছিল।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সংস্কৃতি উপ-কমিটির সদস্য হওয়ার পরও পত্রিকায় এ ধরনের খবর প্রকাশিত হয়। গায়ক বলেছেন এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মিথ্যাচার।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এসডি রুবেল। তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে আমার নাম এলে একটি পত্রিকা তাদের প্রথম পাতায় শিরোনাম করে যে, আওয়ামী লীগের বঞ্চিত ও পদমর্যাদা না পাওয়া ব্যক্তিরা এতে ক্ষুব্ধ। উপ-কমিটির সদস্যপদ। আমার নামের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পত্রিকার পাতায় ভুয়া খবর দেওয়া হয়েছে। লেখা ছিল আমি জাসাসের সদস্য।
এসডি রুবেল বলেন, তবে আজ ২০২৩ সালে এসে আবারও বলছি- আমি কখনো বিএনপি বা জাসা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। পেশাগতভাবে আমি বিএনপি, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেছি, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আমি আবারও বলছি- আমি প্রতিটি মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেছি কিন্তু রাজনৈতিকভাবে কখনো বিএনপি বা জাসা রাজনীতি করিনি। কেউ কেউ তাদের নেতৃত্বকে প্রভাবিত করার জন্য আমার নাম ব্যবহার করতে পারে এবং খালেদা জিয়ার অজান্তে আমার নাম প্রস্তাব করতে পারে, কিন্তু আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি—আমি কোনো কাগজে স্বাক্ষর করিনি। কোনো মিটিংয়ে যাননি। আমি কোনো কমিটিতে ছিলাম না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। রাজনৈতিক মিথ্যাচার।’
এসডি রুবেলের জন্মস্থান চাঁদপুরের শাহরাস্তি। চাঁদপুর সরকারি কলেজে এইচএসসির ছাত্র থাকাকালে ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন বলে দাবি করেন তিনি। কথায় কথায় এসডি রুবেল বলেন, আমি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য ১৯৯৮ সালে গান গেয়েছিলাম।