Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / opinion / আলম এই সরকারের প্রোডাক্ট এই কারণে এত কিছু বলার পরেও আলমের কেশাগ্রও স্পর্শ হলো না:বাবু

আলম এই সরকারের প্রোডাক্ট এই কারণে এত কিছু বলার পরেও আলমের কেশাগ্রও স্পর্শ হলো না:বাবু

বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের সব থেকে আলোচিত একজন ব্যক্তির নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। যিনি বর্তমানে মিডিয়া জগৎ থেকে উঠে এসেছেন রাজনৈতিক অঙ্গনেও। আর এই কারণেই সব থেকে বেশি আলোচনা সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে এবার একটি লেখনী লিখেছনে মঞ্জুরুল আলম সিদ্দিক বাবু। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-

আমি সব সময়েই বলে আসছি যে হিরো আলমরা হচ্ছে ফ্যাসিবাদের আবিস্কার এবং মার্কেটিং করা প্রোডাক্টস। একটা কথা মনে রাইখেন আজকে ফ্যাসিবাদী সরকার যদি হিরো আলমকে সামান্যতম বিপদজনকও মনে করতো তাহলে হিরো আলমের অস্তিত্বও খুজে পাওয়া যেতো না। কিন্তু হিরো আলম নামের আশরাফুল আলম দিব্বি তার কাজকর্মগুলি নির্বিঘ্নে করে যেতে লাগলেন। লোক হাসালেন, নিজের ফলোয়ার বাড়ালেন। সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং লোকদের বিরুদ্ধে অবলীলায় বক্তব্য দিলেন। কিন্তু হিরো আলমের কেশাগ্রও স্পর্শ হলো না।

হিরো আলম নির্বাচন করলেন, এবং সামান্যতম ভোটের ব্যবধানে ফেইল করলেন। জনগনও সাবাশি দিলেন। অর্থাৎ হিরো আলম একজন জননেতা হিসেবে জনগনের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেন। আর এটাই কিন্তু ফ্যাসিবাদী সরকারের চাওয়া ছিল। ফ্যাসিবাদী সরকার ২০২৪ সালে আরো একটা প্রহসনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে এবার তাদের পক্ষে ২০১৮ সালের মত রাত্রীকালীন ভোট করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার ফেয়ার নির্বাচন দিলেও বিপদ। সরকার কোনভাবেই চাইছে না যে বিএনপি নির্বাচনে আসুক। তাই বিএনপি উপর যত জুলুম নির্যাতন করা যায় সেটাই করা হচ্ছে এখন। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির বিরুদ্ধেও তারা পাল্টা উস্কানিমূলক কর্মসূচি দিচ্ছে যাতে বিএনপির উপর আরো হামলা মামলা এবং নির্যাতন করে বিএনপিকে আরো দুর্বল করা যায়।আর বিএনপি নির্বাচনে না আসলে মোটামুটিভাবে একটা ফেয়ার নির্বাচন দিলেও এই ফ্যাসিবাদী সরকারের খুব বেশি সমস্যা নাই। কারন তাদের হাতে আছে গৃহপালিত জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাসদের ইনু। গালফোলা কামাইল্যার সাথে তো গামছা কাদের আগে থেকে রয়েছেনই। তার সাথে যুক্ত হয়েছে বিকাশ নুরু। নুরুর ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য যে আওয়ামীলীগ যদি বিন্দুমাত্র হুমকি মনে করতো নুরুকে তাহলে নুরুর এতদিনে হাজতবাস নিশ্চিত ছিল। এখন হিরো আলমকেও নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়ে গেল। কাজেই এবার আরামসে নির্বাচনটা তারা করতে পারবে। আর এটাই ফ্যাসিবাদী সরকারের একমাত্র চাওয়া।

আমার কাছে সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে যখন দেখি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী পক্ষের লোকজনও যখন নুরু আর হিরো আলমরে নিয়া নাচানাচি করে এবং তাদের পক্ষে সাফাই গায়। এরা আজ পর্যন্ত কে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী পক্ষের শক্তি এটাই চিনতে পারলো না। আফসোস!

প্রসঙ্গত, এ দিকে হিরো আলম নির্বাচনে হেরে গেছেন একেবারেই কাছাকাছি যেয়ে। আর এই কারণে তিনি পাবলিক সহানুভূতি পাচ্ছেন অনেক বেশি। তাকে নিয়ে কথা বলেছেন দেশের সিইসি সহ দেশের তথ্য মন্ত্রীও।

About Rasel Khalifa

Check Also

বাঁধন নৌকার লোক বলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হইতো: পিনাকি

ছাত্র আন্দোলনে তারকাদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তিনি আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *