গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পানি আনতে বাসা থেকে বাইরে নেমেই রীতিমতো নিখোঁজ হন রহিমা খাতুনের (৫৫) এক নারী। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পরও টার কোনো সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন রহিমা খাতুনের মেয়ে মরিয়ম মান্নান। তবে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের মায়ের মৃতদেহ পেয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন মরিয়ম নিজেই।
তবে, দৌলতপুর থানা পুলিশ, মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও ময়মনসিংহ পুলিশ বলেছে, বিষয়টি নিয়ে তারা মোটেও নিশ্চিত নয়।
ফেসবুকের পোস্ট ও পুলিশ নিশ্চিত না করায় বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয় মরিয়মের মোবাইল নম্বরে। কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রহিমা বেগমের ছেলে এম এ সাদীর মোবাইল নম্বরে কল করা হয়। ফোন ধরেন এক নারী। তিনি রহিমার মরদেহ উদ্ধারের ব্যাপারে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে মায়ের লাশ পাওয়ার ব্যাপারে পোস্ট দেন মরিয়ম। লেখেন- আমার মায়ের লাশ পেয়েছি আমি এই মাত্র। রাত ১২টা ৪ মিনিটে আরেকটি পোস্ট দেন তিনি। লেখেন- আর কারও কাছে আমি যাবো না। কাউকে বলব না আমার মা কোথায়! কাউকে বলবো না আমাকে একটু সহযোগিতা করুন। কাউকে বলবো না আমার মাকে একটু খুঁজে দেবেন। কাউকে আর বিরক্ত করবো না। আমি আমার মাকে পেয়ে গেছি।
এদিকে ফুলপুর থানা পুলিশ জানায়, ডিএনএ টেস্ট করতে প্রয়োজনীয় আলামত সংরক্ষণ করে উদ্ধারের দুদিন পর লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেছে তারা।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর ফুলপুর থানা এলাকা থেকে বস্তাবন্দি এক নারীর লাশ উদ্ধার হয়। ওই থানার ওসি আমাদের জানিয়েছেন, বয়স ৩২ উল্লেখ করে ওই নারীর লাশ দাফন করা হয়েছে। তবে তার ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করেছে পুলিশ। আমরা নিশ্চিত নই যে, ফুলপুরে যে নারীর লাশ পাওয়া গেছে তিনিই রহিমা খাতুন কিনা।
এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও মাকে না পেয়ে প্রথমে দৌলতপুর থানায় জিডি করার পর পরবর্তীতে অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন মেয়ে আদুরী আক্তার। আর এ মামলার আলোকে ৬ জনকে আটকও করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।