দুষ্কৃতিকারীরা তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। যখনি মোক্ষম সময় উপনীত হয় ঠিক তখনি তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ মানুষের উপর এবং করে নির্বিচারে প্রাণনাশ। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। এই ধরণের দুষ্কৃতিকারীরা দেশ দেশের মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটা বিশ্বাস করার মত না। সম্প্রতি জানা গেল হলি আর্টিজান হা/মলায় প্রয়াত হওয়া তৎকালীন বনানী থানার ওসি মো. সালাউদ্দিনের স্ত্রী রেমকিন বলেন সন্তানদের বাবার অভাব আমি পূরণ করতে পারিনি।
শুক্রবার হলি আর্টিজান হা/মলার ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে পুরাতন গুলশান থানার সামনে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তৎকালীন বনানী থানার ওসি মো. সালাউদ্দিনের স্ত্রী রেমকিন বলেন, দুই ছেলে মেয়ে প্রতিমুহূর্তে তাদের বাবাকে মিস করছে। বাবার জায়গাটা আমি মা হয়ে শত চেষ্টা করেও ফিলাপ করতে পারি না। বাবাকে মিস করে না এমন কোনো দিন দেখিনি।
“তিনি বলেন এটা এমন নয় যে আমরা বার্ষিকী মিস করছি,”। প্রতিদিন আমরা একই ভাবে মিস করি। এভাবেই আমার বাচ্চারা বড় হয়েছে। তার প্রয়ানের পর থেকে আমি এক সেকেন্ডের জন্যও ভুলিনি। আমি আমার স্বামীকে প্রতি মুহূর্তে মিস করি। আমার স্বামী দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন- এই একটা কথা ভাবলেই মনে শান্তি পাই। তাছাড়া ও আমার মনের মধ্যে সব সময় থাকে।
রেমকিন বলেন, আমার স্বামী দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার পর বিভিন্ন স্থানে জ/ঙ্গি হা/মলা ও জ/ঙ্গি তৎপরতা দেশের মানুষের ক্ষতি করছে। সেসব জায়গা পুলিশ ভাইয়েরা সামাল দিয়েছে। জঙ্গিবিরোধী বিভিন্ন অভিযানের পর দেশকে এখন জ/ঙ্গিমুক্ত বলা যায়। আপনিও দেখেছেন, এমন (আক্রমণ) আর কোথাও শুনিনি। তারপরও আমাদের দেশের পুলিশ ভাইরা কাজ করছে। জ/ঙ্গিমুক্ত সুন্দর দেশ চাই।
“সবাই আমার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন,” তিনি বলেন। আমার দুই সন্তানের জন্য দোয়া করবেন। যাতে তারা নিজেদেরকে সুশিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এ সময় তার ছেলে ও মেয়েও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বাবা হারানোর কষ্ট যে কতটা বিশাল সেটা একমাত্র সেই জানে যে পিতা হারিয়েছে। বাবা হলো মাথার উপর ছাদ। পইটা না থাকলে সন্তানের দুঃখের সীমা থাকেনা। বাবার শুন্যতা কেউ পূরণ করতে পারে না। সন্তানের উজ্জল ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য বাবা সারা জীবন অকান্ত পরিশ্রম করেন।