বোম্বে হাইকোর্ট বলেছে যে, বলিউড কিং খ্যাত শাহরুখ খানের পূত্র আরিয়ান খানকে গ্রে’ফতার করা এবং তার বিরুদ্ধে ভারতের নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) যে অভিযোগ আনার মাধ্যমে তাকে ২৬ দিন কা’রা/গারে রাখা হয়েছিল, সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গতকাল (শনিবার) আরিয়ান খানকে যে আদেশের মাধ্যমে জা’মিন দেওয়া হয় সেটির কপি প্রকাশ পাওয়ার পর এমন ধরনের তথ্য জানা যায়। ১৪-পৃষ্ঠার ঐ আদেশে, বিচারপতি নিতিন সাম্ব্রে জানিয়েছেন যে, এনসিবি-র পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছিল সেখানে আরিয়ানদের নিষি’দ্ধ দ্রব্যের মাম’লায় যে ষ’ড়য/ন্ত্রের ফাঁ’দ পাতা হয়েছিল তার কোনো একটি উদ্দেশ্য ছিল, সেটা খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। হাইকোর্টের ভাষ্যমতে, আসামিরা ক্রুজ শিপে করে সমুদ্র ভ্রমনে যাচ্ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে নিষি’দ্ধ দ্রব্য আইনের ২৯ ধারা প্রয়োগ করা যাবে না।
বিচারপতি জানিয়েছেন, আরিয়ানের কাছ থেকে কোনো নিষি’দ্ধ দ্রব্য উদ্ধার হয়নি। আরবাজ ও মুনমুনের কাছ থেকে যে নিষিদ্ধ দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে, তা নিষিদ্ধ দ্রব্য আইন অনুযায়ী ‘কম’। আপাতত যা তদন্ত হয়েছে, তা থেকে উঠে এসেছে যে মুনমুনের সঙ্গে যাননি আরিয়ান ও আরবাজ।
পাশাপাশি আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেও কোনো ষ’ড়য/ন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি বলে জা’মিনের আদেশে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, জামিনের আদেশের অনুলিপি প্রকাশের পর বলিউডের বিশিষ্ট পরিচালক সঞ্জয় গুপ্ত টুইট বার্তায় লিখেছেন, বোম্বে হাইকোর্ট আরিয়ান খানকে নির্দোষ বলেছেন। কিন্তু আরিয়ান এবং তাঁর মা-বাবা যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এই ধরনের প্রশ্ন এখন সকলের মাঝে উঠেছে।
উল্লেখ্য, বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে একটি বিনোদনমূলক পার্টিতে নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার ২৬ দিন পরে জা’মিন পান। ২৩ বছর বয়সী আরিয়ান খানকে গত ২ অক্টোবর মুম্বাই শহর থেকে গোয়া রাজ্যে যাওয়ার পথে একটি ক্রুজ জাহাজ থেকে নামানো হয়েছিল। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) তাকে “অ’বৈধ দ্রব্য রাখা, সেবন এবং বিক্রয় সম্পর্কিত” আইনের অধীনে অভিযুক্ত করে। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
তার আইনজীবী বারবার আদালতকে বলেছেন যে অভিনেতার ছেলের কাছে কোনো ধরনের নিষিদ্ধ দ্রব্য পাওয়া যায়নি এবং “তিনি কোনো নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবন করেছেন এমন কোনো প্রমাণ নেই”।