বলিউড কিং খান হিসেবে খ্যাতি পাওয়া শাহরুখ খানের পূত্র আরিয়ানের নিষিদ্ধ দ্রব্যের কান্ডে চলছে বলিউডে ব্যাপক আলোচনা। তারকা পূত্রের এই ধরনের কান্ডে সবার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, বইছে আলোচনা-সমা’লো/চনার ঝড়। যদিও অনেকে এই ঘটনার জন্য শাহরুখপুত্রকে দোষ দিচ্ছেন, কিন্তু অনেকে এই ঘটনার পেছনের অন্য ঘটনা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
আরিয়ান গ্রে’/ফ’তার হওয়ার পর থেকে শাহরুখ খান এবং গৌরী খান পড়েছেন ভিন্ন ধরনের পরিস্থিতিতে। শাহরুখ খান সমস্ত ধরনের কাজকর্ম ফেলে রেখে ছেলেকে নিষি’দ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) হে’ফাজতে থাকা অবস্থার বিষয়ে সার্বক্ষনিক খোজখবর চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বেশ কয়েকটি ছবির শুটিং বন্ধ করে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন কীভাবে ছেলেকে মুক্ত করা যায়। আরিয়ানের জা’মিনের শু’নানি হবে শুক্রবার। শোনা যাচ্ছে, ছেলের জা’মিনের শু’নানির পর শাহরুখ খান শু’টিংয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন।
সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে প্রায় ৩০০০ কিলোগ্রাম হে’/’রো’/’ইন উদ্ধারের মাম’লার তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। গু’ঞ্জন উঠেছে, মুন্দ্রা বন্দরের ওই দ্রব্য উদ্ধারের ঘটনা থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই প্রমোদতরীতে অভি’যান চালিয়েছে এনসিবি।
এই দাবি তুলতে দেখা গেছে কংগ্রেসকেও। অভিযোগের পাল্লা ভারী ছিল বিজেপির দিকেই। বৃহস্পতিবার এনসিপি’র মুখপাত্র ও মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক বলেছেন, ‘পুরো ঘটনাটা সাজানো। বলিউডকে কালিমালিপ্ত করতে এবং মহারাষ্ট্রের বি’রো/ধী সরকারকে প্যাঁচে ফেলতে বিজেপি এনসিবি-কে দিয়ে এসব করাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘শাহরুখ খানকে পরবর্তী নি’শানা করা হবে বলে অন্তত এক মাস আগে সাংবাদিকদের কাছে খবর ছিল।’
এ ছাড়া মন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন গণমাধ্যমে আরিয়ানের সঙ্গে ভাই’রাল হওয়া এক ব্যক্তির পরিচয় নিয়েও। প্রমোদতরীতে অভিযানের সময় এনসিবি’র যে দলটি গিয়েছিল, সেই দলে মণীশ ভানুশালী নামে এক ব্যক্তিও ছিলেন। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, ওই ব্যক্তি তাদের দপ্তরের কেউ না বলে জানিয়েছে এনসিবি।
মন্ত্রী নবাব মালিকের দাবি, বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তি। অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও ছবি রয়েছে তার। তবে গণমাধ্যমের কাছে মণীশ জানান, নবাবের অভিযোগ সত্য নয়। বিজেপির সঙ্গে ওই ঘটনার কোনো যোগসূত্র নেই। এদিকে অভিযানে দেখতে পাওয়া আরেক ব্যক্তির পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আরিয়ানকে আ’/ট’কের পর তার সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন ওই ব্যক্তি।
এই ঘটনার বিষয়ে একজন আইনজীবী সেই আলোচনায় আসা ছবিটি টুইটারে পোস্ট করার মাধ্যমে লিখেছেন যে, এস কে গোভাসাই ঐ ব্যাক্তির নাম। তিনি একজন বিশেষ ব্যক্তি, ‘প্রাইভেট ডিটেকটিভ’ হিসেবে তিনি কাজ করেন। এটি প্রশ্নের জন্ম দেয় যে, তারা NCB এর সাথে যুক্ত নেই কিন্তু তারা কীভাবে সেখানকার অভিযানে অংশ নিয়েছিল!
যদিও এনসিবি ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে। তাদের কাছে শুধুমাত্র ক্রুজ শিপে ঐ পার্টিতে নিষিদ্ধ দ্রব্য থাকা সম্পর্কে আগাম তথ্য ছিল। তারা জানতেন না যে কিং খান পূত্র আরিয়ান খানও সেখানে আছে সে বিষয়ে কিছুই জানত না।
খবর আনন্দবাজারের।