Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Entertainment / আরিয়ান ও মুনমুনদের আটক বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী

আরিয়ান ও মুনমুনদের আটক বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী

উঠতি মডেল মুনমুন ধমেচার আ’/টক হওয়ার পর রয়েছেন এনসিবি হেফা’জতে। তিনি সেখানে দিন পার করছেন শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান এবং আরবাজ শেঠ বণিকের সাথে। জানা গিয়েছে যে মুনমুন আরিয়ানের একজন কাছের বন্ধু। তার ব্যবহার করা স্যানিটারি ন্যাপকিনে নিষিদ্ধ দ্রব্য পাওয়া গেছে, এমনটা দাবি করে নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)। কিন্তু মুনমুন কীভাবে প্রমোদ তরীর ঐ পার্টিতে গিয়েছিলেন? তার আইনজীবী আলী কাসিব খান সম্প্রতিক সময়ে একটি ভারতীয় গনমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্ন করেন।

আলির দাবি, আরিয়ান-আরবাজের মতো মুনমুনও গোয়ার উদ্দ্যেশে ছেড়ে যাওয়া ক্রুজ শিপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না। তার কাছে টিকিটও ছিল না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বলরাম নামে এক ব্যক্তি মুনমুনের টিকিট কিনেছিলেন। তিনি তার নামে একটি রুম ভাড়াও নিয়েছিলেন।

আইনজীবীর কথায়, ‘মুনমুন পেশায় মডেল। পার্টি নজ’রকাড়া করে তুলতেই তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বলা হয়েছিল।’ ৩৯ বছর বয়সী মুনমুনের আদি বাড়ি মধ্যপ্রদেশের সাগর নামে এক ছোট শহরে। ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে। মুনমুনের মা প্রয়াত হয়েছেন গত বছর। বাবা আলাদা থাকেন। দিল্লিতে কর্মরত দাদার সঙ্গেই থাকেন মুনমুন। যদিও মুম্বাইয়ের একাধিক বড় তারকার সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে এই মডেল কন্যার।

কিন্তু আইনজীবীর কাছ থেকে জানা গেছে, কাজের ডাক পেলে তবেই তিনি মুম্বাইয়ে যেতেন। পার্টিতে যাওয়ার আগে আরিয়ান বা আরবাজ কারও সঙ্গেই আলাপ ছিল না মুনমুনের। আইনজীবী বলেন, ‘বড় পার্টিতে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে মুনমুন খুব খুশি ছিলেন। সেখানে পৌঁছে দাদাকে ভিডিও কল করে সে কথা জানিয়েও ছিলেন মুনমুন। বোঝাই যাচ্ছে, পরিবারের কাছ থেকে লু’কিয়ে কিছু করেননি তারা।’

মুনমুনের আইনজীবীর কাছ থেকে জানা গেছে, প্রমোদতরীর পার্টির কিছু তথ্য। প্রমোদতরীর বাইরে লেখা ছিল, ‘ নে”/শা দ্রব্য নিষিদ্ধ’। মুনমুন যখন প্রমোদতরীতে উঠছিলেন, তাদের ত’ল্লা/শি করা হয়েছে। তখন কিছু পাওয়া যায়নি তার কাছে। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৫টায় বলরাম এবং আরও একটি মেয়ের সঙ্গে নিজের নামে ভাড়া নেওয়া ঘরে ঢোকেন মুনমুন। দু-তিন মিনিটের মধ্যেই এনসিবি সেখানে ঢুকে পড়ে। মুনমুন তার আইনজীবীকে জানিয়েছেন, ঘরের মেঝেতে নিষিদ্ধ দ্রব্যর প্যাকেট পাওয়া গিয়েছিল।

আলি খানের প্রশ্ন হলো, বলরাম এবং আরেক তরুণী মুনমুনের সাথেই ছিল যে সময় তার বাড়িতে নিষিদ্ধ দ্রব্য পেয়েছিল। যদি তাই হয়, তাহলে কেন এনসিবি শুধুমাত্র মুনমুনকে আ’/টক করলো? তাদের বাড়িতে যেটা পাওয়া গেছে সেটা তো তাদের আনা কোনো দ্রব্যও হতে পারে। কিন্তু সেখানে শুধুমাত্র মুনমুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আ/ট’ক করে নিয়ে আসা হয়। এখানে কি ষ’ড়য’ন্ত্রের আভাস পাওয়া যায় না? আইনজীবী যে বিষয়টি সামনে আনার চেষ্টা করছে সেটা হলো, ক্রুজ শিপে কোনো একটি উদ্দেশ্যে এই ধরনের একটি ফাঁ’/দ পাতা হয়েছিল যার মাধ্যমে বিশেষ কোনো কিছু করার উদ্দেশ্য রয়েছে। মুনমুন কান্না করে আমাকে বললেন, ‘সেখান থেকে শুধু আমাকে নিয়ে আসলো?’ এভাবেই জানান আইনজীবী।

About

Check Also

আপত্তিকর সেই ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন তিশা (ভিডিও)

সম্প্রতি ঢাকার দোহার উপজেলার এক জমিদার বাড়িতে নাটকের শুটিং চলাকালীন ঘটে বিব্রতকর একটি ঘটনা। ‘প্রেমিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *