সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের আলোচিত ঘটনা শাহরুখ পূত্র আরিয়ানকে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মা’মলার গ্রেফতার এবং তাকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা। ঐ মামলায় আরেক আ’সা/মি অর্চিত কুমার যাকেও গ্রেফতার করা হয় এবং আরিয়ান খানের সাথে কারাগারেই ছিলেন। এবার মুম্বাইয়ের নিষিদ্ধ দ্রব্য বিরোধী বিশেষ আদালত তাদের বিচার চলাকালীন বলেছেন, শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে আরিয়ান খান এবং আরবাজ মার্চেন্টকে নিয়মিত নিষিদ্ধ দ্রব্য সরবরাহ করতেন অভিযুক্ত অর্চিত কুমার, সেটা কখনও প্রমান করে না। আলোচিত ঐ নিষিদ্ধ দ্রব্যের মামলায় অর্চিতকে জা’মিন দিয়েছে মুম্বাইয়ের ঐ বিশেষ আদালত। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
গতকাল (সোমবার) আদালত থেকে রায়ের একটি অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। নিষিদ্ধ দ্রব্যের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আরিয়ান খান এবং আরবাজ মার্চেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ২২ বছর বয়সী কলেজ ছাত্র অর্চিত কুমারের নাম উঠে আসে। ব্যুরো অফ নারকোটিক্স কন্ট্রোল (এনসিবি) এর তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, অর্চিতকে যে সময় গ্রে’প্তার করা হয়েছিল সেই সময় তার নিকট হতে নিষিদ্ধ দ্রব্য পাওয়া গিয়েছিল।
এনসিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অর্চিত নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসায় যুক্ত। তিনিই আরিয়ানদের নিষিদ্ধ দ্রব্য সরবরাহ করতেন। যে দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিশেষ আদালত বলেছেন, অর্চিত ও আরিয়ানদের মধ্যে হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে কখনই প্রমাণ হয় না তিনি অভিযুক্তদের নিষিদ্ধ দ্রব্য দিতেন।
শনিবার ২২ বছরের অর্চিতকে জা’মিনের রায় দিতে গিয়ে বিশেষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এনসিবি এমন কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি, যা থেকে বোঝা যায় অভিযুক্ত নিষিদ্ধ দ্রব্য সরবরাহে যুক্ত। শুধু আরিয়ান খানের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে তার চ্যাট প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেছে এনসিবি। কিন্তু একমাত্র সেই চ্যাটের ওপরে নির্ভর করে এটি কখনই প্রমাণ হয় না তিনি অন্য অভিযুক্তদের নিষিদ্ধ দ্রব্য সরবরাহ করতেন।
আদালত বলেছেন, যেহেতু আরিয়ান ও আরবাজ হাইকোর্টে জা’মিন পেয়ে গেছেন, সেদিক বিচার করে অর্চিতকেও জামিন দেওয়া যেতে পারে। এদিকে নিষিদ্ধ দ্রব্য মাম’লা ঘিরে এবার নবাব মালিকের সঙ্গে দ্ব’/ন্দ্ব চরমে উঠল বিজেপি নেতা ও মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিসের। সোমবার সকালে নিষিদ্ধ দ্রব্য পাচারে জে’লব’/ন্দি জয়দীপ রানা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ফডনবিস ও তার স্ত্রীর একটি ছবি পোস্ট করেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক।
তার পর ক্ষু’/ব্ধ ফডনবিসও পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন, মালিকের সঙ্গে ‘অন্ধকার জগতের’ যোগাযোগ রয়েছে। তিনি হু’শি/য়ারি দেন, নবাব মালিক পটকার সলতেতে আ’গু/ন দিয়েছেন। অ’ন্যা/য়ভাবে নিষিদ্ধ দ্রব্য-যোগে তাকে ও তার স্ত্রীর নাম জড়িয়েছেন। দীপাবলির পর তিনি বো’/’মাটা ফাটাবেন বলে জানান।
সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মলনে নবাব মালিক বলেন, নিষিদ্ধ দ্রব্য পা’চারের ঘটনায় আটক জয়দীপ রানার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ফডনবিসের। ফডনবিসের স্ত্রীর গাওয়া একটি গানের ভিডিওতে টাকা ঢেলেছিল ওই ব্যক্তি। ফডনবিসের জামানায় অবাধে রাজ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসা চলেছে।
উল্লেখ্য, সিনিয়র অ্যাডভোকেট অমিত দেশাই, যিনি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) নিষিদ্ধ দ্রব্যের মামলার সময় আদালতে আরিয়ান খান এবং আরবাজ মার্চেন্ট উভয়ের হয়ে ল’ড়েছিলেন তিনি মামলার বিষয়ে তার মতামত এবং চিন্তাভাবনা এবং নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস (এনডিপিএস) আইনের উপায় সম্পর্কে কথা বলেন যিনি ঐ সংস্থা এবং বিচার বিভাগ ভূমিকা নিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। বোম্বে হাইকোর্ট থেকে জা’মিন পাওয়ার পর আরিয়ান খানের জন্য এগিয়ে যাওয়ার পথ সম্পর্কে বলতে গিয়ে দেশাই বলেছেন, “এখন অবিলম্বে কিছুই হবে না; আইনি প্রক্রিয়ায় তার কোর্স নিতে হবে। আরিয়ান বাড়িতে আছে এবং সে সম্ভবত বিশ্রাম নিবে এবং এটিকে স্বাভাবিকভাবে নেবে। আরিয়ানের পর একই মামলার আরও নয়জন জা’মিন পেয়েছেন। তাই এবার এই মামলায় জামিন পেয়েছেন মোট ১৪ জন। ছয়জন এখনো হেফাজতে আছে।”