মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সময়ে করা একটি টুইট নিয়ে ভারতে তোলপাড় চলছে। শাহরুখ খান পূত্র আরিয়ানকে অপহরণ করা হয়েছিল এমন দাবি তুলে তিনি অনেক আগেই মুখ খুলেছেন। তিনি বরাবরই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন NCB অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের দিকে।
এবার নতুন প্রমাণও আনলেন তিনি। এনসিপি নেতা এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী নবাব মালিক সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তির সংগে কেপি গোসাভি কথা বলেছেন এমনটাই উঠে এসেছে ঐ টুইট বার্তায়। বলা হয়েছে যে, নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো গেল ২ অক্টোবর কোর্ডেলিয়াতে পার্টি করতে যাওয়া লোকেদের ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেছিল।
নবাব মালিক এর আগে অভিযোগ করেছিলেন যে, এনসিবি ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালায়নি তবে এটিতে ওঠার আগে কিছু লোককে আটক করেছিল। এমনকি কাকে ধরা হবে তার ছবিও আগে ছড়িয়ে পড়েছিল। এদিন এই ক্রুজ থেকে গ্রেফ’তার হন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান।
মালিকের দাবি, ‘আরিয়ানকে অপ’হ/রণ করে মুক্তিপন আদায় করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। তবে সেই পরিকল্পনা বানচাল হওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় স্টারকিডকে।’ মঙ্গলবার সকালে টুইটার অ্যাকউন্ডে নিজের যুক্তির স্বপক্ষে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন নবাব। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ইনফর্মারের সাথে গোসাভির কথা হচ্ছে কোর্ডিলাতে পার্টি করতে যাওয়াদের ফাঁ’দে ফেলা নিয়ে।
সেই ছবি শেয়ার করে নবাব লেখেন, ‘এটা হল সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ের প্রাইভেট আর্মি। তাকে অনেক জবাবদিহি করতে হবে এই নিয়ে।’ গোসাভি আর ওই ব্যক্তির চ্যাট অনুসারে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। যাতে ছিল ৩৫ জন মতো এনসিবি অফিসার। প্রথম স্কিনশটে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি গোসাভির কাছে জানতে চাইছেন পার্টিতে যারা আসবে তাদের নাম ও কী পরে আসবে সেই ব্যপারে বিস্তারিত তথ্য।
লেখা আছে, ‘আউটফিট মিলে গেলে ওদের খুঁজে পাওয়া আরও সহজ হবে।’ সেখানে গোসাভি জানান, তিনি একটা নাম নিয়ে নিশ্চিত, যা তিনি আগেও জানিয়েছেন, যে পার্টিতে থাকছেই।
আরেকটি স্ক্রিনশট দেখা যাচ্ছে, লোকটি লিখছেন যে, সমস্ত অফিসার অপেক্ষা করছে। যার উত্তরে গোসাভি লিখেছেন, সবাই যখন যেতে শুরু করবে তখন তিনি ফোন করবেন। বোর্ডিং ইতিমধ্যে চার ঘন্টা পিছিয়েছে। তাই প্রচুর ভিড় থাকবে। লোকটি পুনর্ব্যক্ত করে জানান, তারা বর্তমান সময়ের একটি ছবিটি নিতে চান, কারন অনেক ভিড়ের মধ্যে টার্গেট করা ব্যক্তিদের খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে।
ক্রুজ মামলার তদন্তের জন্য মুম্বাই পুলিশ এবং এনসিবি ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করেছে। অন্যতম একজন সা’ক্ষী হলেন প্রভাকর সেইল, যিনি নিজেকে গোসাভির দেহরক্ষী বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আরিয়ানকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছিল। পরে ১৬ কোটি টাকায় চুক্তি চূড়ান্ত হয়।