বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি যতটা শক্তিশালী ছিল, আজ তার চেয়েও শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ এ ধাক্কা সামলাতে পারবে না। বলে না, চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন, সেই দিন এসেছে। আজ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শেখ হাসিনার শাসনকে পরাজিত করতে হবে।
শনিবার বিকেলে নগরীর কাজী দেউরী নসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা রাজপথে আছি। যতদিন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না, ততদিন গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না, লুটপাট অব্যাহত থাকবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। অনেক হয়েছে, অনেক শুনেছি, অনেক দেখেছি। আর সইব না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে জেলে নিতে যারা জড়িত সবাইকে তাদের অপরাধের শাস্তি ভোগ করতে হবে। খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেননি। যে ট্রাস্টের কথা বলা হয়েছে, সেই ট্রাস্ট থেকে একটি পয়সাও খালেদা জিয়া অথবা তার পরিবারের কোনো সদস্য নেননি। সব টাকা ব্যাংকে জমা আছে, সুদে আসলে চারগুণ হয়েছে এখন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউলাহ বুলুর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, মহানগর বিএনপির সাবেক আহŸায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়–য়া, দক্ষিণ জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক এনামুল হক এনাম।
আমীর খসরু আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন চলছে। গুলি করে, গ্রেনেড ছুড়ে জনসভা বন্ধ করার চেষ্টার পরও আন্দোলন থেমে নেই। আর ভোট চুরি করে ডামি নির্বাচন করে কেউ যদি মনে করে, আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে অথবা বিএনপিকে নতুন করে শুরু করতে হবে, আমি পরিষ্কারভাবে বলছিÑনতুন করে শুরু করার কিছু নেই। আন্দোলন চলমান আছে। আন্দোলনের ভয়ে প্রধানমন্ত্রী সকাল-বিকাল কি ধরনের মন্তব্য করেন বুঝতে পারছেন না। কারণ ওরা জানে বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ তাদের নির্বাচন বয়কট করেছে। পরে উপজেলা নির্বাচনও বয়কট করেছে। তারা জানে ওই নির্বাচন করে কোনো লাভ হয়নি। ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সভা বন্ধ করে কোনো লাভ হয়নি। আবার সভা হবে, আবার মিছিল হবে, আবার লক্ষ জনতা একসঙ্গে হবে।